বাঁকুড়া: ঝাড়গ্রামের নির্বাচনী সভায় (Election meeting of Jhargram) সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Minister Narendra Modi) আরও ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস এবং তৃণমূলকে। তিনি বলেন, কংগ্রেস ডুবন্ত জাহাজ। আর তৃণমূলের জাহাজও ফুটো হয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, পঞ্চম দফার ভোটে ইন্ডিয়া জোট ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে। এবারের ভোটে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের ভরাডুবি নিশ্চিত।
গত চার পর্বের ভোটের আগে মোদি বাংলায় বেশ কয়েক দফা প্রচার চালিয়েছেন। সেগুলিতেও প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। তবে এদিন যখন পঞ্চম দফার ভোট হচ্ছে, তখন ঝাড়গ্রামের সভায় মোদি তৃণমূলকে যে ভাষায় আক্রমণ হানলেন, তা কার্যত নজিরবিহীন। তিনি বলেন, তৃণমূলের কোনও নীতি নেই। ওদের একটাই নীতি, টাকা দাও। চাকরি নাও। বাংলার সম্মান ওরা লুটিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের কারণেই বাংলা আজ বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছে।
এদিন তমলুক এবং ঘাটালেও মোদির সভা করার কথা ছিল। কিন্তু তুমুল ঝড়বৃষ্টির জন্য তাঁর চপার উড়তে পারেনি। তিনি ঝাড়গ্রামেই সভা করেন। সেখান থেকে তমলুক এবং ঘাটালের উদ্দেশে ভার্চুয়াল ভাষণ দেন। মোদি তমলুক এবং ঘাটালবাসীকে ভার্চুয়াল ভাষণে বলেন, আমি আপনাদের ওখানে যেতে পারলাম না খারাপ আবহাওয়ার জন্য। এর জন্য আমরা দুঃখিত।
আরও পড়ুন: বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে স্থগিতাদেশ আদালতের
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ এবং ইস্কন নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই সব প্রতিষ্ঠানের সাধুদের একাংশ রাজনীতি করছেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উনি সরাসরি রাজনীতি করছেন বিজেপির হয়ে। রামকৃষ্ণ মিশনের আসানসোল শাখার এক সন্ন্যাসীর কথাও তিনি বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব সন্ত সত নন। আবার সবাই অসতও নন।
প্রধানমন্ত্রী মমতার ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, ইস্কনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধমক দিচ্ছেন। এই সব প্রতিষ্ঠান বাংলার ধর্মীয় চেতনার আধার। তারা সামাজিক কাজকর্মেও থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীর মদতে এই ধরনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর শাসকদল হামলা করার সাহস পাচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন