জলপাইগুড়ি: হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ছিল না চিকিৎসক। সেই গাফিলতির জেরে ১২ বছরের কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতাল চত্বরে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃত ওই কিশোরীর নাম রিয়া যাদব (১২)। বাড়ি ধূপগুড়ি শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে।
পরিবারের দাবি, সোমবার রাত থেকে পেটের ব্যাথা এবং সামান্য জ্বর ছিল রিয়ার। এরপর মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক না থাকায় সেখান থেকে আউটডোরে নিয়ে যাওয়া হয় রিয়াকে। সেখান থেকে ফের স্বাস্থকর্মীরা জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এর জেরে রিয়ার অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক দেখে তিনটি ইঞ্জেকশন দিলে দু’ঘণ্টা হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাকে। পরে ছুটি দেওয়া হলে পরিবারের লোক রিয়াকে নিয়ে বাড়ি যান।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী রেখার বাড়িতে আগুন
তবে বাড়িতে গিয়েই ফের অসুস্থ হয়ে পরে সে। রিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই নাবালিকার কাকা প্রকাশ যাদব।বলেন, চিকিৎসার গাফিলতির জেরে এই ঘটনা ঘটল। যদি পরিস্থিতি খারাপই হত তাহলে আগে কেন সুপরামর্শ বা জলপাইগুড়ি স্থানান্তর করা হল না। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অঙ্কুর চক্রবর্তী। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় মৃত কিশোরীর পরিবারেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
এদিকে হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসা আরও এক রোগীর আত্মীয় প্রদীপ রায় বলেন, ওই বাচ্চা মেয়েটিকে নিয়ে এসে পরিবারের লোক ছোটাছুটি করছিলেন। চিকিৎসক আউটডোরে ছিলেন। আমরা গিয়ে চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: