বহরমপুর: নবগ্রামে দুষ্কৃতীদের গুলিতে (Nabagram Firing) আহত তৃণমূলের যুব নেতা (TMC Leader) রুবেল শেখের (Rubel Sheikh) মৃত্যু হল। বুধবার গভীর রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান রুবেল। মঙ্গলবার রাতে নবগ্রামের বিলবসিয়া এলাকায় রাস্তার পাশে বন্ধুদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন রুবেল। সেই সময় একটি গাড়িতে করে কিছু দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। রক্তাত্ব অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়েন। বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Murshidabad Medical College Hospital) রেফার করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই রাতেই তাঁকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় রুবেলের।
রুবেলের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁর মা মোমিনা বিবি। তিনি জানান, তৃণমূলের নবগ্রাম ব্লক সভাপতি এনায়েতুল্লার সঙ্গে ঘুরত রুবেল। কিভাবে তাঁর সন্তানের মৃত্যু হল তার সঠিক তদন্ত চান তিনি।
যদিও এই ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের খোজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:Rail Accident: বিহারের পশ্চিম চম্পারণে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, ইঞ্জিন থেকে খুলে গেল ট্রেনের পাঁচটি বগি
পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাংলার বিভিন্ন জেলা। বিশেষত মুর্শিদাবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে বোমা-গুলি চলছে, তাতে রীতিমতো আতঙ্কিত জেলাবাসী। গত দশ দিনে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কখনও বিরোধী দলের সঙ্গে শাসকদলের সংঘাত, কখনও বা শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে।
গত ২৪ জানুয়ারি শিক্ষক নেতা আলতাফ শেখ গুলিবিদ্ধ হন লালবাগে। পরের দিনই ওই তৃণমূল (TMC) শিক্ষক নেতার মৃত্যু হয়। ২৭ জানুয়ারি ডোমকলের বাজিতপুরে সমিরুদ্দিন শেখ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। ওই যুবকের পেট থেকে এখনও গুলি বার করা যায়নি। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Murshidabad Medical College Hospital) চিকিৎসাধীন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খড়গ্রামে গুলিবিদ্ধ হন এক ব্যক্তি, আহত হন এক মহিলা। ওইদিনই ফরাক্কায় বোমাবাজির ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।