হুগলি: সোমবারই পঞ্চম দফার নির্বাচন। হুগলি কেন্দ্রে লোকসভা ভোটও রয়েছে ওইদিন। শনিবারই পঞ্চম দফার ভোটের প্রচার শেষ হয়ে গেল। যে সাতটি কেন্দ্রের ভোট হবে সোমবার, সেগুলিতে চুটিয়ে প্রচার সারলেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee), দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari), সুকান্ত মজুমদার, জে পি নাড্ডা, মহম্মদ সেলিম (Mohammad Salim), অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) মতো নেতানেত্রীরা ছুটে বেড়িয়েছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কেউ জনসভা করেছেন, কেউ রোড শো করেছেন। নেতাদের পাশাপাশি প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরাও।
প্রথম প্রচারে নেমে হুগলিতে কলকারখানার ধোঁয়া দেখেছিলেন সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। প্রচারের শেষ দিনে তিনি দেখলেন, মানুষ তাঁকে কত ভালোবাসে। শনিবার সকালে পাণ্ডুয়ার বৈঁচি নুনিয়াডাঙা থেকে রোড শো শুরু হয় তৃণমূল প্রার্থীর। বৈঁচি বাজার, আলিপুর, বৈঁচি গ্রাম হয়ে বৈঁচি স্টেশনে এসে শেষ হয় সেই রোড-শো। হুডখোলা গাড়িতে জনসংযোগ করেন তিনি। প্রচারের প্রথম দিকে প্রচার নেমে সিঙ্গুর এলাকায় শিল্প নিয়ে বলেন, আমি যখন কলকাতা থেকে আসছিলাম, তখন দেখলাম চারদিকে ধোঁয়া আর ধোঁয়া। চিমনি দিয়ে ধোঁয়া বার হচ্ছে। কে বলছে শিল্প হয়নি? দিদি তো কত শিল্প করে দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে বিস্তর ‘মিম’ ছড়িয়েছিল স্যোশাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: দুশো আসনও পাবে না বিজেপি, বিষ্ণুপুরে দাবি মমতার
প্রচারের শেষ দিনে তৃণমূল প্রার্থী জানান, শেষ দিনে শুধু মানুষের মুখে হাসি দেখতে পেলেন তিনি। রচনার কথায়, আজকে ধোঁয়ার জায়গা নেই। আমি আজ শুধু মানুষের হাসিমুখ দেখতে পেলাম। প্রচুর মানুষের ভালবাসা নিয়ে ফেরত যাব।পাশাপাশি রচনা আরও জানান, প্রচারে নেমে মানুষের থেকে ভাল সাড়া পেয়েছেন তিনি। দিনদুয়েক আগে বৈচিতে প্রচারে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি সময়ের অভাবে যেতে পারেননি। তা নিয়ে দলের কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সে প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, আমাকে দুটুকরো করে দিলে ভালো হয়। তাহলে আমি সব জায়গায় যেতে পারি। না হলে আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সবাই আশা করছে।
অন্য খবর দেখুন