কলকাতা: জেল থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি (Sandeshkhali BJP Leader Mampi Das)। ভোটের মুখেই গ্রেফতার হন মাম্পি দাস। হাইকোর্টের নির্দেশে জেল থেকে ছাড়া পেয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে শনিবার মুক্তি পেয়েই তিনি বলেন, সত্যমেব জয়তে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে ছাড়ব না। পিসি-ভাইপোর শেষ দেখে ছাড়ব …হারিয়ে দেখাব।
সন্দেশখালির একটি ঘটনায় মাম্পিকে সম্প্রতি পুলিশ গ্রেফতার করে। তখন তাঁর বিরুদ্ধে জাংমিনযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছিল। বসিরহাট মহকুমা আদালতে তিনি জামিন চাইতে যান। তখনই আদালত মাম্পিকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। পরে জানতে পারা যায়, আচমকাই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য নতুন ধারা দেয়। সেই ধারাতেই আদালত তাঁকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। মাম্পি তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান।
আরও পড়ুন: পঞ্চম দফার ভোটের প্রচার শেষ, ব্যস্ত থাকলেন প্রার্থী-নেতারা
এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের তোপের মুখে পড়ে পুলিশ এবং নিম্ন আদালত। বিচারপতি মাম্পিকে মুক্তির নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার জেল থেকে ছাড়া পান মা্ম্পি। তিনি বলেন, দেখুন সত্যের পথে চললে, কষ্ট আছে। কিন্তু সেগুলি সবই উপেক্ষা করে আমাদের সবাইকে সত্যের সঙ্গে চলতে হবে। সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ঘটনা মিথ্যে নয়। আন্দোলনকারী মহিলাদের পাশে ছিলাম, আগামী দিনেও তাঁদের পাশে থাকব। তিনি বলেন, মিথ্যে অভিযোগে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সত্যের জয় হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মাম্পি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা হয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াননি। আমরা চেয়েছিলাম, সন্দেশখালির আন্দোলনের পাশে দিদি থাকুন। তিনি আজ পর্যন্ত এখানে এলেন না। আমাদের মায়েদের কষ্ট বুঝলেন না। তিনি বলেন, দিনের পর দিন সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। এখন তৃণমূল ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে, সব অত্যাচারের অভিযোগ মিথ্যা। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ব না।
অন্য খবর দেখুন