আসানসোল: খোলামুখ খনিতে ধস,মৃত ২। আসানসোলের রানিগঞ্জের নারায়ণপুরের পর এবার বাঁশড়া খোলামুখ খনির পরিত্যক্ত এলাকায় কয়লা তুলতে গিয়ে মৃত্যু হল দুজনের। রানিগঞ্জের আমড়াসোতা এলাকায় বাঁশড়া খোলামুখ খনিতে পরিত্যক্ত স্থানে বেআইনিভাবে কয়লা তুলতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুজন। এই ঘটনার ফলে তীব্র বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। খনি চত্বরে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, স্থানীয় সিপিএমের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ও তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানীগঞ্জের কুনুস্তরিয়া এরিয়ার বাঁশড়া খোলামুখ খনিতে রবিবার রাতে কয়লা তুলতে গিয়েছিল স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। কয়লা খোঁড়ার সময় খনিতে ধস নামে এবং সেই ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুজনের। মৃত দুজনের নাম বিনোদ ভূঁইয়া ও রাজেশ তুরি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের স্থানীয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: HS এর প্রশ্নপত্রে এবার ইউনিক সিরিয়াল নম্বর
বিষয়টি জানাজানি হতে স্থানীয় এলাকাবাসীরা খনি দফতরে গিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অন্যদিকে এই ঘটনার পরে রাজনৈতিক রঙ লাগতে শুরু করেছে। সিপিএমের স্থানীয় নেতা সুপ্রিয় রায় ও বাম কর্মীরা দলীয় পতাকা নিয়ে খনি চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলও। অন্যদিকে খনি চত্বরে এবং এলাকায় পৌঁছন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। অগ্নিমিত্র পাল এই ঘটনায় কয়লা চুরিতে তৃণমূল মদত দিচ্ছে বলে অবিযোগ তুলেছেন। কারণ বেকার যুবকদের এই কয়লাঞ্চলে কোনও কাজের ব্যবস্থা নেই। পেটের জ্বালায় তাঁরা এই বিপদজনক কাজ করে।
অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুপ্রিয় রায়ের দাবি, কাজ নেই সেই কারণে গরিব মানুষেরা বারবার কয়লা তুলতে গিয়ে এভাবে মৃত্যুর মুখে পড়ছেন। আমরা বারবার কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষকে বলেছি, পরিতক্ত খনিকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। তারা এই কাজ করেনি। অর্থাৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই কয়লা চুরিতে সাহায্য করছে কলিয়ারি কর্তৃপক্ষ বলে তার অভিযোগ।
দেখুন আরও অন্য়ান্য খবর: