বাঁকুড়া: টাকা দিয়ে পাওয়া চাকরি বাঁচবে না। তৃণমূল (TMC) নেতাদের কলার ধরে এখনই টাকা আদায় করুন। একা না পারলে আমাদের ডাকুন, আমরা ঝান্ডা-ডান্ডা নিয়ে যাব। সোমবার কোতুলপুরে দলীয় কর্মীদের এমনই নিদান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের।
এদিন বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর নেতাজী মোড়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর (BJP) সমর্থনে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, টাকা দিয়ে পাওয়া চাকরি বেশিদিন বাঁচবে না। এটাই সুযোগ। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন। একা না পারলে সঙ্গে বিজেপিকে নিয়ে যান। বিজেপি ঝান্ডা এবং ডান্ডা নিয়ে গিয়ে সেই টাকা উদ্ধার করে দেবে। সুকান্তর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: আত্মসমর্পণ কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালার
পরে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তিনি বলেন, বেকার ছেলে-মেয়েদেরদের অনেকে জমি বিক্রি করে চাকরির জন্য তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছে। এখন চাকরি চলে গেলে সে কী করবে? তাঁকে তো টাকাটা আদায় করে দিতে হবে। সে একা না পারলে আমরাও সঙ্গে যাব। শুধু চাকরির টাকা আদায়ই নয়, পাশাপাশি সুকান্ত এদিন দুর্নীতি প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে একহাত নেন। তিনি বলেন, জনগণের টাকা এখন যে যত খাচ্ছে খেতে দিন। পরে বাইরে দড়ি দিয়ে উল্টো করে টাঙিয়ে রাখব আর জনগণের টাকা বমি করাব। পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর পরামর্শ, বিজেপির পক্ষে হাওয়া, এরপর সুনামি আসবে। তাই আগেভাগে হাওয়া মোরগের মতো ঘুরে যান। এবার ৩০ এর উপর আসন পেলে এক বছরের মধ্যে নবান্নে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বসবে। হামলা হলে ব্যবস্থা নিন। নাহলে বিজেপি ব্যবস্থা নেবে।
এই মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিজেপি নেতৃত্বকেই টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। এখন সন্ত্রাস ও হিংসা ছড়ানোর জন্য এমন কথা বলে বেড়াচ্ছে তাঁরা।
দেখুন আরও অন্যান্য ভিডিও: