নরেন্দ্রপুর: নিজের ওড়না দিয়ে সাত বছরের পুত্র সন্তানকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিলেন মা। পরিচারিকা তা দেখতে পেয়ে প্রাণে বাঁচল ওই নাবালক। এই ঘনার জানাজানি হতেই ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ মায়ের। শুক্রবার এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে। নরেন্দ্রপুর এলাকার একটি অভিজাত আবাসনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে েলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির বাসিন্দা মুনির আহমেদ। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের আধিকারিক। তাঁর বাড়ি বোলপুরে। তাঁর স্ত্রী পারমিতা আহমেদের শিলিগুড়ির বাসিন্দা। আগে শিলিগুড়িতে কর্মরত ছিলেন মুনির। সেখানেই তাঁদের পরিচয় হয়। ৭ বছর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর দুজনে ভিন জাতের বলে কাউকে না জানিয়েই বিয়ে করেন তাঁরা। বর্তমানে কলকাতায় কর্মরত মুনির। একটি বহুজাত আবাসনে ফ্ল্যাট কিনে বসবাস করছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:Recruitment Scam | প্রভাবশালীর নির্দেশে কাজ করতাম, জেরায় স্বীকার শান্তনুর
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। তার জেরেই এই ঘটনা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়ির পরিচারিকা অনিমা নস্কর জানান, প্রতিদিনের মতো এদিনও তিনি কাজে গিয়েছিলেন ওই ফ্ল্যাটে। তখন আচমকাই তিনি দেখতে পান, পারমিতা তাঁর সন্তানকে নিজের ওড়না দিয়ে ফ্যানের মধ্যে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তা দেখেই ছুটে গিয়ে ছেলেটিকে তুলে ধরেন। এরপর পারমিতাই ওড়না কেটে তাঁর ছেলেকে নামান। ওই নাবালকের গলায় ফাঁস লাগানোর দাগ রয়েছে। এই খবর জানাজানি হতেই দোতালার ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী মুনির আহমেদ। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।