তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। দেশের মধ্যে একমাত্র দুর্নীতি মুক্ত রাজনৈতিক দল তৃণমূল। মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে এক যোগে বিজেপি-সিপিএমকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হুঙ্কার, ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিডিয়া ট্রায়ালের নামে তৃণমূলকে চোর বানানোর-বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করছে-আগামী দিনেও করে যাবে। তৃণমূল নেতাদের জেলে ঢোকানোর ভয় দেখানো হচ্ছে। আমরা ভয় পাই না। দরকারে জেল থেকে লড়াই করব।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে ফের সরব হলেন মমতা । বিজেপিকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেন, অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তৃণমূলের নামে। এর পরই বলেন, “রাজনীতি করি। না হলে যাঁরা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাঁদের জিভ টেনে ছিঁড়ে দিতাম। রাজনীতি করতে হয় বলে অনেক কিছু মেনে চলতে হয়।” একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হচ্ছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “বিজেপি সবাইকে চোর বলছে। পার্থ চোর, কেষ্ট চোর, ববি চোর, অভিষেক চোর। আমাকেও চোর বলেছে। সবাই চোর আর ওরা সাধু।” বিজেপি ইডি সিবিআইকে দিয়ে লোকের ঘরে ঘরে রেড করে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আর সেই টাকা খাটানো হচ্ছে বিভিন্ন অবিজেপি রাজ্যগুলির সরকার ফেলার জন্য। অভিযোগ করেন মমতা। মহারাষ্ট্রের সরকার ফেলতে অত টাকা এল কোথা থেকে? প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।
বিজেপিকে নিশানা করে মমতা এ দিন বলেন, ‘‘বিজেপির শুধু কেন্দ্রীয় এজেন্সি আছে। আর টাকা আছে। টাকায় চলছে দলটা।’’ যারাই বিজেপির বিরোধিতা করছে তাদের এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে বলেও তৃণমূল সুপ্রিমো আজ অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, রাজ্যে যে সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তার তুলনায় অভিযোগের সংখ্যা নগন্য। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, স্কুল-কলেজ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে এই সরকার ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ জনকে চাকরি দিয়েছে। সেখানে মাত্র দুশো, আড়াইশো জনের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বলেন, সুযোগ পেলে তাও সংশোধন করে নেওয়া হবে। আইন মেনে ছেলেরা যাতে চাকরি পান, সরকার এই বিষয়টা দেখবে বলেও স্পষ্ট করেন মমতা।
পরিসংখ্যান তুলে মমতা বলেন, তৃণমূল সরকারের এগারো বছরের শাসনে এ রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ, ৫১ নতুন কলেজ, ১৭৬ পলিটেকনিক কলেজ, ৭ হাজার নতুন স্কুল তৈরি হয়েছে। ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৭০ জনকে চাকরি দিয়েছে সরকার। এখনও খালি রয়েছে ৮৯ হাজার ৩৫টি পদ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সারা দেশে কর্মসংস্থান ৪০ শতাংশ কমেছে। বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সব প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে।