আদালতে ফের কাঁদলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার আলিপুরে সিবিআই বিশেষ আদালতে তিনি নিজেও সওয়াল করেন। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বলেন, আমার কথা আমার আইনজীবী বলেছেন। আমি একটু বলি। আমি শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। আমি শিক্ষিত। আমার মামা শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি চাকরি করেছি বহু বছর। পরবর্তীকালে জনপ্রতিনিধি হই। পার্থ বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নেওয়া, চাকরি দেওয়া সব দফতর করে। এখানে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। আমাকে ৬০দিন হেফাজতে রাখল এক তদন্তকারী সংস্থা। এখন আবার অন্য সংস্থা হেফাজতে রাখতে চাইছে। আমি ক্লান্ত, অসুস্থ, দিনে ২৮টি করে ওষুধ থেতে হয়, নেবুলাইজার নিতে হয়। কে এসব করবে। আমাকে জামিন দিন। আদালতে ঢোকার মুখে তিনি বলেন, এরকম চললে আমি মরে যাব।
আরও পড়ুন: কেরলে রাহুলের পদযাত্রা বামেদের অনুমতি পেলেও ছত্তিশগড়ে বাম কর্মসূচিতে আপত্তি কংগ্রেসের
পার্থর আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ইডি এবং সিবিআই। দুদিনের মধ্যে ইডি হেপাজতের ৬০দিন শেষ হয়ে যাবে। ইডি চার্জশিট দিতে পারবে না এই সময়ের মধ্যে। তাই এখন সিবিআই ব্যস্ত হয়ে উঠেছে পার্থকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য। এই মামলায় পার্থকে সিবিআই জোর করে জড়াতে চাইছে। কল্যাণময়ের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার সই
করেননি, তিনি ইন্টারভিউ নিতেন না, এটা এসএসসির কাজ। তাঁর সঙ্গে এসএসসির
কোনও সম্পর্ক নেই। ২০১৮ সালের পর থেকে তাঁর সই স্ক্যান করে কাজ করা হয়েছে।
আইনজীবীর আরও দাবি, তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘কাউকে ভয় পাই না’, প্রাণনাশের হুমকি প্রসঙ্গে গুলাম
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে হেফাজতে রেখে জেরা করা গেলে আরও অনেক তথ্য মিলবে। নিয়োগ দু্র্নীতির পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে।