কলকাতা: মণিপুরে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে এই দলে রয়েছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, দোলা সেন এবং সুস্মিতা দেব। সকাল ১০টায় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলের বিমান উড়ে যাবে মণিপুরের উদ্দেশে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো জানা যাচ্ছে, মণিপুরের পরিস্থিতি ঘুরে দেখবেন পাঁচ সদস্যের এই দল।
তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব বিমানবন্দরে পৌঁছে জানান, ” পাঁচ জন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ আজকে আমরা মণিপুরে যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা মণিপুরে গিয়ে সেখানকার জনসাধারণের সঙ্গে সাক্ষাত করব। বিভিন্ন রিলিফ ক্যাম্পে যাব। আমাদের উদেশ্য় থাকবে যে প্রত্যেকটা হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করব। আপনারা অবগত যে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুন মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে চিঠি লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন, মণিপুর যেতে যান তিনি। তবে কোনও উত্তর আসেনি কেন্দ্রের তরফে। প্রধানমন্ত্রী এখনও চুপ আছেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস আজ মণিপুরে গিয়ে একটা রিপোর্ট তৈরি করে, আমরা আমাদের শীর্ষ নেত্রীকে দেব।”
আরও পড়ুন: Narendra Modi | NDA | নেতিবাচক জোট কখনও জিততে পারে না, এনডিএ বৈঠকে তোপ মোদির
অন্যদিকে, বুধবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যে এতও হিংসা। তৃণমূল কংগ্রেসের কত লোক মারা গিয়েছে। উনি কার বাড়ি গেছেন? প্রতিবাদ করেছেন? কারণ লোকসভায় সবাই এরা সবাইকে চায়। আমরা আমাদের কর্মীদের সঙ্গে আছি। ওনারা সব জায়গায় যান। ওরা লাশের বিভাজন করছেন। মারো আর ২ লাখ টাকা করে দিয়ে দাও।”
প্রসঙ্ত, শনিবার সন্ধ্যায় হিংসাকবলিত মণিপুরে এক মহিলাকে তার বাড়িতে গুলি করে খুন করা হল। মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব জেলার সাওয়ামবুং এলাকায় ঘটে ঘটনাটি। দুষ্কৃতীরা মহিলাটির মুখে গুলি করে এবং তার মুখ বিকৃত করে দেয়। ইতিমধ্যেই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে, থানার সামনেই পুলিশের তিনটি ট্রাক আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব জেলায় সাওমবাং এলাকায় মণিপুরের ইম্ফল পূর্ব জেলায় সাওমবাং এলাকায় কিছু সশস্ত্র লোক তার বাড়িতে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে তার মুখ বিকৃত করে। পুলিশ জানিয়েছে, এক দল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী এই খুন করেছে। পুলিশের অনুমান, খুনের পর ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে মহিলার মুখ বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে এবং মণিপুর পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে এবং এলাকার কিছু বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতের পড়শিদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ।