skip to content
Saturday, July 27, 2024

skip to content
Homeচতুর্থ স্তম্ভচতুর্থ স্তম্ভ (Fourth Pillar) | একজিট পোল আর কোটি কোটি পতিদের খেলা

চতুর্থ স্তম্ভ (Fourth Pillar) | একজিট পোল আর কোটি কোটি পতিদের খেলা

ধনী দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে, মহামারি থেকে অতিমারি, যুদ্ধ থেকে দাঙ্গা, খরা থেকে বন্যা গরীবরাই মরবে, গরীবরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, গরীবরাই মরবে

Follow Us :

গতকাল আরও পাঁচ জনের মতই আমারও চোখ ছিল বিভিন্ন চ্যানেলের একজিট পোলের দিকে। আমার বরাবরই এই ওপিনিয়িন পোল বা একজিট পোলের বিষয়টা কলকাতা মিউজিয়ামের তলায় টিঁয়া পাখি বসে থাকা জ্যোতিষির মতই মনে হয়। মিলতেও পারে, নাও মিলতে পারে। বিভিন্ন দলের পাস্ট রেকর্ড, ভোটের পার্সেন্টেজ, প্রচারের ইস্যু, একেবারে মাটি থেকে উঠে আসা মানুষের মেজাজের কছু খবর মিলিয়ে আমরাও আমাদের ধারণা দিয়েছি, বাকিরাও সম্ভবত সেটাই দেন, ওপরে থাকে কিছু সংখ্যাতত্ত্ব, কিছু হিসেব নিকেশের ভড়ং। ধরুন এঁদের মধ্যেই বড় জ্যোতিষি হলেন ইন্ডিয়া টুডে মাই অ্যাক্সিস, এনারা আবার একটা ভিডিও ভাইরাল করে ওনাদের টি আর পি বৃদ্ধিরও ব্যবস্থা করেছে। চ্যানেলের দুই মাথা আর সমীক্ষক সংস্থার প্রধান বসে সাংঘাতিক গোপন কথা আলোচনা করছেন আর সেই ভিডিও দেড় হাত দূর থেকে রেকর্ড করে ভাইরাল করে দিল অজানা এক ব্যক্তি, এ আবার সম্ভব নাকি? যাঁরা ক্যামেরা, রেকর্ডিং, নিউজ হাউসের সামান্য খবর রাখে, তাঁরা জানেন, এটা সম্ভব নয়। মানে প্রচার। আমাদের বন্ধু দাদা দেবাশিস ভট্টাচার্য, বহুবার নির্বাচনের ফলাফল হুবহু মিলিয়েছেন, দু এক বার মেলেও নি, উনি এই ধরণের সমীক্ষাকে ভড়কিবাজী বলতেন।

তো যাই হোক, এক উত্তেজনা তো আছেই, সবাই দেখে, আলোচনা হয়, অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হবার কথা হয়। তার ওপর আবার দেশের রাজনীতি বলে কথা, মানুষ এসব অনুষ্ঠান গোগ্রাসে গেলে বললেও কম বলা হয়। তো সেই এক সমীক্ষা মানে একজিট পোল অনুষ্ঠানে এক হিসেব দেখানো হচ্ছিল, তো অ্যাংকারেরা উত্তেজিতভাবে বলছিলেন দেখুন আমরা কত নতুন নতুন বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, সেই নতুন তথ্যটা কী? গরীব লোকেরা, মানে দেশের দরিদ্র জনগণ নাকি বিজেপিকে অনেক কম ভোট দেয়, তুলনায় বড়লোকেরা নাকি বিজেপিকে ঢেলে ভোট দেয়। আবার অন্য আরেক হিসেবে তাঁরাই বলছেন, দেশের পিছড়ে বর্গ, ওবিসি নাকি বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। অর্থনীতির সাধারণ খোঁজ খবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা ভাল করেই জানেন যে আমাদের দেশের সিডিউল কাস্ট, সিডিউল ট্রাইব, ওবিসি মূলত গরোব মানুষ। মানে ওনারা আসলে দেবাশিসদার ভাষায় ভড়কিবাজীই করছেন। দেশের ৪০% মানুষ হত দরীদ্র, দেশের বাকি ২০% মানুষ গরীব, ১৫% এর বেশি মানুষ নিম্ন বিত্ত, দেশের ২০% মানুষ মধ্যবিত্ত আর ৫% মানুষ উচ্চমধ্যবিত্ত বা বিত্তশালী। এটাই একটা মোটামুটি হিসেব। তাহলে ৭৫% মোটের ওপরে গরীব মানুষের বেশিরভাগই যদি বিজেপিকেই ভোট দেয়, তাহলে বিজেপি জেতে? জিততে পারে? কিন্তু বাস্তব হল জেতে, জেতে কারণ সেই গরীবদেরও এক বড় অংশ ধর্মের নামে, জাতের নামে, রামের নামে, আল্লার নামে ভোট দেয়। আসুন এই ধনী – দরিদ্র বিভাজনটা একটু বোঝার চেষ্টা করি। যবে থেকে ব্যক্তিগত মালিকানার সূত্রপাত, তবে থেকেই দুটো সামাজিক ঘটনা ক্রমশঃ বড় হয়েই চলেছে। সব সমাজে, সব দেশে, পৃথিবীর সবখানে।

১) ধনী দরিদ্রের বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে, মহামারি থেকে অতিমারি, যুদ্ধ থেকে দাঙ্গা, খরা থেকে বন্যা গরীবরাই মরবে, গরীবরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে, গরীবরাই মরবে, গরীব দের ই চাকরি যাবে।

২) প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ক্রমশঃ আরও বড় হয়ে উঠবে, তাদের মধ্যের ঘৃণা, তাদের নিজেদের কুসংস্কার, তাদের গোঁড়ামো হিমালয়প্রমাণ হয়ে উঠবে।

করোনা, আমফান কবলিত আমাদের জীবনের দিকে তাকালে এটা পরিস্কার বোঝা যায়। যে কোনও রাজনৈতিক সামাজিক ঘটনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সামনে রাখুন, পরিস্কার হয়ে যাবে, অথচ এ পৃথিবীর এমন কোনও ব্যবস্থা নেই যা মুখে ঐ দরিদ্রদের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে কথা বলছে না, ট্রাম্প থেকে বোলসেনারো থেকে মোদীজী, প্রত্যেকে দুবেলা সবথেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী, গরীব দের জন্য দু বেলা নিয়ম করে কাঁদেন, প্রকল্পের পর প্রকল্প ঘোষণা করেন। তা ছাপা হয় প্রথম পাতায়। খবরের কাগজে প্রথম পাতায় খবর থাকার শর্ত হলো সেই খবরের বিক্রি হওয়া, বিক্রি হবে না এমন খবর এর জন্য সাতের পাতা, ৯ এর পাতা ১১ র পাতা বরাদ্দ থাকে, কোনও খবর প্রথম পাতায় এলেই জানবেন তার বিক্রয় যোগ্যতা কমলেই তাকে ৭ বা ৯ এর পাতায় নির্বাসনে পাঠানো হবে, তারপর সে উধাও হবে। তেমন কিছু উধাও হওয়া খবর থেকে শুরু করা যাক, বৈষম্য টা চোখে ধরা পড়বে। ধরুন এই শতাব্দীতে ভারতীয় আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে বিরাট খবর হলো বিমুদ্রাকরন, ডিমনিটাইজেশন।

বিরাট ব্যাপার, প্রথম পাতায় টানা ২৫/৩০ দিন ব্যাট করেছিল, নতুন টাকায় তেলেভাজা তৈরি হবে এমনও শোনা গ্যালো, সারা দেশ ব্যাঙ্কের লাইনে মানুষ? কোন মানুষ? ব্যবসায়ীরা পাঠালেন অফিসের পিওনদের, শিল্পপতিদের কাছেই চলে গ্যালো ব্যাঙ্কের টাই পরা অফিসার, গরীব মানুষগুলো ভেবেছিলো মোদী জী টাইট দিয়েছে বড়লোকেদের, কদিন পরেই চাকরি নেই মাইনে নেই, ছোট কারখানা বন্ধ, দিন আনি দিন খাইদের রোজগার বন্ধ, মোদী জী ঝোলে লেকর নিকল পড়েঙ্গে বললেন বটে কিন্তু আদতে বেরহলেন এক লাখি পেন পকেটে পুরে বিশ্ব ভ্রমণে, গরীব মানুষের হাঁড়িতে জল ফুটছে চাল নেই, মাছ ওলা থেকে খোমচা ওলা, বুট পালিশ ওলা থেকে সিনেমায় ট্রলিপুলার রা সব্বার মাথায় হাত, বড়লোকেরা আবার গোলাপি দু হাজার নিয়ে দেড় কেজি গলদা কিনে বাড়ি ফিরলো, ক্রমে ক্রমে ডিমনিটাইজেশন গেলো ৫, ৭ এবং ৯ এর পাতা হয়ে আর্কাইভ এ, প্রথম পাতায় ব্যাট করতে নামলো জি এস টি। খায় না মাথায় দেয় কারোর জানা নেই, কিন্তু চাকরি চলে যাচ্ছে, ছোট ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত, অর্থনীতি যত ঝোলে বাজারের দাম তত চড়ে, কৃষক যে টোমাটো ৭০ পয়সা কেজি বিক্রি করে, তা মানুষ বাজারে কেনে ২০ টাকায়। সেসব দিন দেখতে দেখতে কৃষক আত্মহত্যা করে, ৪ বিঘে ৭ বিঘে র কৃষক। জি এস টি প্রথম পাতার থেকে নামতে না নামতেই, ক্রোনলজি বোঝাতে শুরু করলেন মোটাভাই অমিত শাহ জী, এন আর সি হোকে রহে গা। এন পি আর হোকে রহে গা। আবার সেই গরীব রা টার্গেট, ওখার্ডের মালিক তো মুসলমান, ভারুচের হীরের ব্যবসায়ীরাও মুসলমান, তারাতো চাঁদমারির ধারে কাছেও নেই, তাদের হয় কাগজ আছে, নাহলে কাগজ তৈরি করার পয়সা আছে, কিন্তু বস্তিতে রাজমিস্ত্রী, কিম্বা চাষা ভুষো মুসলমানরা? তারা কোথ্বকে পাবে সে কাগজ? তারা আশঙ্কায় রাত জাগছেন? কেন শাহীনবাগ? কেন পার্ক সার্কাস? কারণ তারা আতঙ্কে ভুগছেন, তাঁরা জানেন এমনকি তাদের ধর্মের বেরাদর রাও তেমন হলে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে, গরীব মানুষগুলো জানে তাদের মাথার ওপর ঝিলছে ডেমোক্লিসের খড়্গ। তারো জান কবুল কি মান কবুল করে নামলো রাস্তায়, প্রথম পাতাতেই ছিলো, কিন্তু আরও বড় খাবার হাজির, দাঙ্গা, দিল্লিতে গোলি মারো শালো কো।

ব্যস মুহুর্তের মধ্যে বস্তিতে আগুন লাগলো, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাশ বলে দিলো, যারা মরছে রাদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ১০ হাজার টাকাও নয়, তস্য গরীব বস্তি গুলোর মানুষ দের শেষ সহায় ছিলিয়ে নিল দাঙ্গা, দিল্লিতে বড়লোক মুসলমান নেই? অনুরাগ ঠাকুর দের গোলি, তাদের গায়ে লাগলো? একটাও না। একজন ও বড়লোক হিন্দু মারা গ্যালো? না, একজনও না। কিন্তু প্রথম পাতায় দাঙ্গা, এমন কি গরীবোঁ কা মসীহা কেজরিওয়ালও ভোট শেষ, অতএব দাঙ্গা উপভোগ করলেন বলা যায়। দাঙ্গার ঘা মোছার আগেই প্রথম পাতা জুড়ে করোনা, মহামারি, অতিমারি। মুহুর্তের মধ্যে এন আর সি, এন পি আর চলে গ্যালো কোমায়। মৃত্যু ভয়ে কেঁপে উঠলো পয়সাওলা লোকজন, স্যোশাল ডিস্টান্সিং স্যানিটাইজার, এন ৯৫ মাস্ক, ভেন্টিলেটার, সব্বার মুখে মুখে, জেনে বা না বুঝে। এবং মোদীজী এলেন লকডাউন নিয়ে, টোটাল লকডাউন। বাড়িতে যাদের খাবার মজুদ, যাদের পয়সা আছে, ২০% ৩০% মাইনে ছাঁটাই এর পরেও যাদের মাস মাইনে লাখটাকা, তাদের দুঃখবিলাসিতা শুরু হলো, অসহ্য, ভাল্লাগে না, মুক্ত বিহঙ্গ, নীল আকাশ, স্বচ্ছ বাতাস, ইত্যাদী। আর অন্যদিকে মানুষ রাস্তায়, হ্যাঁ আবার সেই গরীবমানুষগুলো রাস্তায়, কেউ ১০০০ কেউ ১৫০০ কিলোমিটার বৌ বাচ্চা নিয়ে হাঁটছে, পরিশ্রান্ত হয়ে লাইনের ওপর শুয়ে পড়ছে, মাথার ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে মালবাহী ট্রেন, যে মাল খালাস হবে চিৎপুর ইয়ার্ড এ, ছোট হাতি তে করে চলে যাবে পাড়ার দোকানে, আপনার বাচ্চার বেবিফুডে আপনার অজান্তে মিশে গ্যাছে রক্ত। সে খবর আজ কোথায়? মনেও নেই কারও সেই মানুষগুলোর কথা।

আশ্চর্য লাগে না যখন দেখি, দিন আনি দিন খাই মজুর দের টিকিট কেটে ঘরে ফিরতে হয়, তাও সবার কপালে জোটে না, অথচ বিনি পয়সায় এয়ার লিফট করানো হয়, বিদেশে প্রবাসি শ্রমিকদের, অবশ্য সামনে ভোট থাকলে আলাদা কথা তখন ১৫ হাজার মজুরদের জন্য আলাদা আলাদা অ্যমবুল্যান্স। এবং সেই লকডাউন কে হা হা হেসে উড়িয়ে দেয় আমফান, অন্তত গ্রামের গরীব মানুষগুলো ভেবেছিল, এ যাত্রা বেঁচে গেলাম তারা দ্যাখে তাদের ধানের ক্ষেতে এক হাঁটু জল, তারা দ্যাখে তাদের খড়ের বাড়িগুলো খেলনার মত উড়িয়ে নিয়ে গ্যাছে ঝড়, তারা দ্যাখে তাদের বস্তির সবকটা ঘরের ছাদ গ্যাছে উড়ে, আই অ্যাম সেফ, ফেসবুকে লেখে এক আদুরে বেড়াল, কবিতাও দু চার খানা, হাউ স্কেয়ারি ওয়াজ দ্যাট নাইট, লাইক পড়ে ৩০০ টা, সেলফি উইথ আমফান, লাইক ৭০০ টা। চারদিকে দেওয়াল অটুট, ছাদ আছে, দুটো জানলার কাঁচ ভেঙেছে, হোয়াট অ্যা ডিসাস্টার, ছবি সমেত ফেসবুকে, হিঙ্গলগঞ্জে দেওয়াল ছাত নেই, জানলা দরজার প্রশ্ন নেই, ঝড়খালি, কুমির মারি, ছোট রাক্ষসখালি, বড় রাক্ষসখালি এখনও পৌঁছনো যায় নি, জানি না, সেখানে মানুষগুলো বেঁচে আছে কি না? আর কদিন পরেই যেখান থেকে তরমুজ আসতো,ছোটছোট, লাল ভেতর টা, সেই সাগরে পানের বরজ লঙ্কার ক্ষেত, তরমুজের চাষ, সব গেছে। স্কুলবাড়িতে শেল্টার নিয়েছিল মানুষ, তারও ছাদ উড়ে গেছে, যায়।

প্রতি বছর যায়, গরীবদের ই যায়। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়, যে যত গরীব, সে তত বাঁও জ্বলে, যে যত গরীব, তার পেটে তত কম খাবার, এ নিয়ম পালটায় না। ৪৭ এর স্বাধীনতা এ নিয়ম পালটায় নি, চুঁইয়ে পড়া অর্থনীতিতে দরিদ্র পাড়ায় রাস্তা হলেও বড়লোকেদের লাভ, ভেবে দেখেছেন, এই যে বিশাল বিশাল এক্সপ্রেসওয়ে, তার দুধারের হাজার লক্ষ গ্রামের কত শতাংশ মানুষ সেই গ্রাম থেকে বেরিয়ে ঐ রাস্তা ধরে শহরে এসেছেন, স্কুল বা কলেজে গেছেন, হাসপাতালে গেছেন, চিকিৎসার জন্য? অথচ ঐ রাস্তা ধরেই মাল হ্যাঁ মাল পৌঁছে গেছে গ্রামের অন্দরে, কলগেট পাম অলিভ, কোকোকোলা পেপসি থেকে হন্দুস্তান লিভার, কুকমি থেকে সানরাইজ, কুরকুরে থেকে হলদিরাম, মানে রাস্তা হলো কার জন্য? সারাটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া ৬০% গ্রামবাসি তাদের গ্রাম থেকে বেরোয়নি কোনও দিন, কিন্তু গোল্ডেন কোয়াড্রিঅ্যাঙ্গল তার গ্রাম চিরে বেরিয়ে গেছে, আপনি আড়াই ঘন্টায় দীঘা কিম্বা শান্তিনিকেতন। কাদের জন্য দেশের উন্নয়ন প্রকল্প? কাদের জন্য দেশের সরকার? শালগ্রাম শিলা, নারায়ণের নাম করে কে নিয়ে যায় কলা চাল বাতাসা মিস্টি গামছায় বেঁধে? অথচ কোটি কোটি টাকা দারিদ্র দূরিকরণের নানান প্রকল্প, ১০০ দিনের কাজ, কিষান সন্মান যোজনা, গ্রাম বিকাশ যোজনা, বস্তি উন্নয়ন প্রকল্প, শ্রমিকদের উন্নত জীবনের কত শত প্রকল্প, স্বাস্থ প্রকল্প, আসে আর যায়, আসে আর যায়। একটা জিনিষ দেখান যেখানে এই গরীব মানুষগুলোর ছোঁয়া নেই, আপনার সাধের বাংলোবাড়ি, আপনার হাইরাইজ ফ্ল্যাটবাড়ি, আপনার বিলাসিতার সব, সব সামগ্রী, আপনার আরাম করার সুইমিং পুল, রিসর্ট, আপনি ট্রেনে চড়বেন, লাইন পাতবে ঐ মজুরগুলো, এয়ারপোর্ট তৈরি করবে সেই মজুররাই, ফুসলে মিশে থাকবে তাদেরই শ্রম ঘাম রক্ত, অথচ তারাই সব থেকে নীচে, তারাই সব থেকে শোষিত, তারাই সবথেকে পিছিয়ে এবং এ সব শুরু কিন্তু তখন থেকে যখন থেকে জন্ম নিয়েছে সম্পদ এবং তার মালিকানা, ব্যক্তি মানুষ সম্পদের দখল নেবার পর থেকেই সমাজ ভাঙলো, তৈরি হল, গরীব বড়লোক। ব্যক্তিমালিকানাই সেই গরীবে আর বড়লোকে বৈষম্য কে বাড়ায়, বজায় রাখে। অসুখের মূলে আছে এই সম্পদের মালিকানা। এগুলো কি কোনও নতুন তথ্য? এসব চলছে। ৪৭ সাল থেকে হরেক রং এর, হরেক কিসিমের দল, নেতা মানুষের বিশেষ করে গরীব মানুষের সঙ্গে থাকার ওয়াদা করেছেন, তাদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের কথা বলেছেন, ফল কী? হাতে নাতে ফল ফলেছে, দেশের ৮৩% সাংসদ কোটি পতি, দেশের ৭৬% বিধায়ক কোটিপতি, আমরা মন দিয়ে প্রতি নির্বাচনে শুধুই ভোট দিই না, ভোটের ওপিনিয়ন পোল, একজিট পোলেও হামলে পড়ি, টি আর পি বাড়ে তাদের যারা কোটি কোটি পতি।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Odisha Potato Price Hike | ওড়িশায় আলুর সংকট, বাড়ছে দাম, মমতার হস্তক্ষেপ চাইলেন পট্টনায়ক
00:00
Video thumbnail
Rahul vs Modi | রাহুল অনেক এগিয়ে, মোদি অনেক পিছিয়ে, কোথায়? কীভাবে? দেখুন এই ভিডিও
00:00
Video thumbnail
Supreme Court | ২ রাজ্যের রাজ্যপালকে সুপ্রিম কোর্টের নোটিস, এবার কী হবে?
00:00
Video thumbnail
June Malia | ৫০ বছর ধরে ব্রাত্য খড়গপুর, সংসদে গর্জে উঠলেন জুন মালিয়া
00:00
Video thumbnail
Mamata Banerjee | জেলবন্দি কেজরিওয়ালের বাড়িতে মমতা, দেখা করলেন সুনীতার সঙ্গে, তারপর কী হল দেখুন
00:00
Video thumbnail
Kalyan Banerjee | মোদির চেয়ারে বসে পড়লেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝড় উঠল পার্লামেন্টে
00:00
Video thumbnail
Potato Price Hike | ওড়িশায় আলুর সংকট, বাড়ছে দাম, মমতার হস্তক্ষেপ চাইলেন পট্টনায়ক
07:27
Video thumbnail
Kalyan Banerjee | মোদির চেয়ারে বসে পড়লেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝড় উঠল পার্লামেন্টে
07:12
Video thumbnail
Narendra Modi | ভলোদিমির জেলেনস্কির আমন্ত্রণে কিয়েভ সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা মোদির
04:47
Video thumbnail
Mamata-Modi | আজ নীতি আয়োগের বৈঠক, মোদির সঙ্গে কি দেখা করবেন মমতা?
44:14