skip to content
Saturday, July 27, 2024

skip to content
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | আজ ২৩ জানুয়ারি, রামমন্দিরের তলায় চাপা পড়ে গেল সর্বশ্রেষ্ঠ...

Fourth Pillar | আজ ২৩ জানুয়ারি, রামমন্দিরের তলায় চাপা পড়ে গেল সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি

Follow Us :

আজ ২৩ জানুয়ারি, বাংলার অন্যতম নায়ক, রাষ্ট্রনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। মনে আছে ২০২২-এ, মোদিজি নেতাজিকে নিয়ে নেমেছিলেন। মাথায় অমন এক টুপি পরে নেতাজি হওয়ার অক্ষম প্রচেষ্টা, ১৫০ বছর উদযাপন কমিটি তৈরি হয়েছিল, তাতে সদ্য দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী, সুনীল মণ্ডলও ছিলেন, তার আগেরবার নির্বাচনে তৃণমূলের স্টার ক্যাম্পেনার, পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলিও ছিলেন। মোদিজি নেতাজির কথা দেশের মানুষের কাছে নাকি ছড়িয়ে দিতে চান, সত্যি? সেসব বুকনি দিয়েছিলেন। সব ভুলে মেরেছেন, সেই ১৫০ বছর উদযাপন কমিটি কী ছিঁড়েছে তা কেউ জানে না। নির্বাচন আসছে, এবারে নেতাজি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য? না নেই। এখন সবটাই রাম রাম। সদিয়ো কা গুলামি ভেঙে নাকি নয়া ভারতের নির্মাণ শুরু হয়েছে, কবে থেকে? ২০১৪ থেকে। গতকাল বলেছিলাম এই নব নির্মাণ নিয়েই আলোচনা করব, কিন্তু তার আগে কিছু জরুরি কথা, একটা প্রেক্ষাপট।

সব রাজনৈতিক দলের একটা ইতিহাস থাকে, তার গঠনের ইতিহাস, তার লড়াইয়ের ইতিহাস, তার জিতে যাওয়ার ইতিহাস, হেরে যাওয়ার ইতিহাস। বর্তমান তো থাকেই। ইতিহাসের কিছু পাতা থাকতেও পারে কালো, কলঙ্কিত অধ্যায়। তা নিয়ে তাদের লজ্জাবোধ থাকতে পারে, ধরুন জার্মানির সরকার, তারা এখনও লজ্জিত সেই কবেকার হিটলারের শাসন নিয়ে, ইতালির সরকার মুখেও আনে না মুসোলিনির নাম, আমেরিকা ক্ষমা চেয়েছে ভিয়েতনামের যুদ্ধের জন্য। এ তো গেল সরকারের কথা, দলের কথা বলতে গেলে আমেরিকার রিপাবলিকানরা নিক্সনের ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে এখনও লজ্জিত, ট্রাম্পের সমর্থকদের ক্যাপিটল হিল আক্রমণ নিয়ে লজ্জিত। আমাদের দেশে কংগ্রেস দল লজ্জিত জরুরি অবস্থা জারি করার জন্য, শিখ দাঙ্গার জন্য, তারা বার কয়েক ক্ষমাও চেয়েছে। আবার একই সঙ্গে দেশ গর্ববোধ করে তার ইতিহাসের জন্য, রাজনৈতিক দলও, তাদের লড়াই, তাদের অবদানের জন্য। আমাদের দেশে কংগ্রেস গর্বিত তার স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে, গান্ধী, নেহরু, প্যাটেল, সুভাষকে নিয়ে। দক্ষিণের ডিএমকে গর্বিত তাদের আন্না দুরাইকে নিয়ে, কমিউনিস্টরা গর্বিত মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা নিয়ে, বিপ্লবীদের নিয়ে যারা আন্দামান থেকে জেল খেটে যোগ দিল কমিউনিস্ট পার্টিতে। তৃণমূল দল কথায় কথায় সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম কৃষক আন্দোলনের কথা বলে। সমস্যাটা বিজেপিকে নিয়ে, তাদের সংসদে ৩০৩-এর বর্তমান আছে বটে, তাদের ইতিহাস নেই, মানে ইতিহাস বলে যা আছে তা এতটাই কালিমালিপ্ত যে, তাঁরা ওই ইতিহাস মুখে আনতে পারেন না। তাঁদের একজন নেতার নাম বিজেপি নেতামন্ত্রী কর্মীরা নিতে পারেন না, যিনি নাকি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, এই লজ্জা তাদের বাড়ে সেই সব দিনে, যে দিনগুলো স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবজ্জ্বল অধ্যায়ের সঙ্গে জুড়ে আছে। গান্ধী হত্যাকারী গডসের পূজারীরা গান্ধীর জন্মদিনে রাজঘাটে যান তো বটে, কিন্তু মুখে চোখে অস্বস্তি, আরএসএস-এর লড়াই, সমালোচনা তো ছিল গান্ধীর বিরুদ্ধেই। তাঁর জন্মদিন মৃত্যুদিনে রাজঘাটে চরকার সামনে বসতে হয় বসেন কিন্তু বসতে যে তাঁদের ভালো লাগে না, একথা বলাই বাহুল্য।

সবেধন নীলমণি বীর সাভারকর, যিনি নিজেই অন্য নামে নিজেকে বীর উপাধি দিয়েছিলেন। তিনি পাঁচ পাঁচবার ইংরেজদের কাছে মুচলেকা দিয়েছিলেন। সে কী কান্না, আমি তো আপনাদের হয়েই কাজ করব, আমি তো আপনাদেরই লোক হুজুর, আপনারা কিনা আমায় জেলে পুরে রেখে দিয়েছেন, এই যন্ত্রণা আর সহ্য হচ্ছে না, আমায় ছেড়ে দিলে মহারাষ্ট্রের যেসব বিপ্লবীরা আছে, তাদেরও ও পথ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে আপনাদের সামনে হাজির করে দেব, শুধু আমায় ছেড়ে দিন, আমি জেল থেকে বেরিয়ে আর রাজনীতিই করবো না। হ্যাঁ, এসব লিখেছিলেন, কোট আনকোট বীর সাভারকর, আরএসএস–বিজেপির মতাদর্শের গুরু, আইকন। ওদিকে বাকি নেতা গোলওয়ালকর বা হেডগাওকরের কথাও একই রকম, তারা জীবনেও স্বাধীনতা আন্দোলনে আরএসএসকে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবেননি শুধু নয়, ইংরেজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে কীভাবে স্তব্ধ করতে হবে তার প্ল্যান করেছেন। সেই প্ল্যানে আর এক নেতা, বাংলার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ও শামিল ছিলেন। সব মিলিয়ে যা ইতিহাস আছে, ওই আরএসএস-বিজেপির, সবটাই বিশ্বাসঘাতকতার, কলঙ্কিত ইতিহাস, আর তারচেয়েও কলঙ্কিত তাদের নেতারা। কাজেই বিজেপি আজ তাদের নাম নিতে পারে না, স্বাধীনতা আন্দোলনের যে কোনও ব্যাপারেই তাদের অনাগ্রহ, তাঁরা ওই লজ্জাজনক অধ্যায়কে এড়িয়েই চলেন। তাই তাঁদের আশ্রয় পুরাণ কাহিনির এক চরিত্র। তবুও বেশ ক’ বছর হল, তাঁদের টার্গেট ছিল নেতাজি। কয়েকজন তো এরকমও প্রচার করতে শুরু করেছিলেন যে, নেতাজিকে জার্মানি যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সাভারকর। যদিও আমরা সবাই জানি, তিনি যেতে চেয়েছিলেন রাশিয়া, রাশিয়ার সাহায্য না পেয়ে অগত্যা জার্মানি গিয়েছিলেন। আসলে গান্ধী, নেহরুর সঙ্গে নেতাজির মতের অমিল ছিল, কংগ্রেসের মধ্যে এই দু’ মতের লড়াই ছিল। গান্ধী চাননি নেতাজি দ্বিতীয়বার কংগ্রেসের সভাপতি হন, তাঁর প্রার্থী ছিলেন পট্টভি সীতারামাইয়া। এরপরেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইংরেজদের সাহায্য করা হবে না যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে, এ নিয়েও মতানৈক্য ছিল। এই মতানৈক্যকে কাজে লাগিয়ে নেতাজিকে গান্ধী, নেহরু, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে একটা রাজনীতি করার চেষ্টা এখনও চালাচ্ছে বিজেপি। বেশ কিছু দিন ধরেই, তার জন্য মিথ্যে প্রচার, আষাঢ়ে গল্প তৈরি হচ্ছে, সিনেমা তৈরি হচ্ছে, যেন সুভাষ ছিলেন গান্ধী, নেহরুর শত্রু। মাথাতেও নেই যে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি তৈরি করে, নেতাজি তাঁর সৈন্য ব্রিগেডের নাম দিয়েছিলেন, গান্ধী ব্রিগেড, নেহরু ব্রিগেড। শেষ দিন পর্যন্ত গান্ধীর উপরে তাঁর আস্থা এতটুকুও কমেনি, গান্ধীকে বাপু তো নেতাজিই বলেছিলেন। বিজেপি সেসব ভুলিয়ে প্রচার করতে চায়, এই যে দেখুন কংগ্রেস আর গান্ধী, নেহরুর বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য নেতাজিকে তিলে তিলে কষ্ট পেয়ে মরতে হয়েছে, অনামী গুমনামি হয়ে জীবন কাটাতে হয়েছে, না হলে নেহরুর পুলিশ এসে গ্রেফতার করত, জেলে পুরত, আন্তর্জাতিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া হত, ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং এই গুমনামি, যিনি নাকি আসলে নেতাজি, পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন, তাঁর সঙ্গে সরসঙ্ঘচালক গুরু গোলওয়ালকরের দারুণ পরিচয় ছিল, চিঠিপত্রের আদান প্রদান হত। সব ক’টা তথ্য মিথ্যে, কিন্তু তা নিয়ে লেখা হয়ে গেল, থান ইঁট সাইজের বই, বানানো হল ছবি আর হোয়াটসঅ্যাপ তো ছেড়েই দিন, সেখানে তো মিথ্যের কারখানা চালানো হচ্ছে। গতকাল আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত থেকে নরেন্দ্র মোদি, সব্বাই তো ছিলেন সরযূ নদীর তীরেই। সেখানেই নাকি গুমনামি, যিনি নাকি আসলে নেতাজি তাঁকে গুপ্তার ঘাটে পোড়ানো হয়েছিল মাঝরাতে, কই একবারও তাঁরা ওখানে গেলেন? একবারও সেই গুমনামি প্রসঙ্গ আনলেন? আনেননি, কারণ তাঁদের নয়া অস্ত্র এখন অনেক ধারালো, নেতাজির আর দরকার নেই। রামের কাঁধে ভর দিয়েই তাঁরা এই নির্বাচন পার করে দেবেন, অন্তত সেটাই তাঁদের ইচ্ছে।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | নতুন ভারতের নতুন স্বাধীনতা

কিন্তু তারপরেও যে সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে এই মিথ্যে রচনা হয়েছে, হচ্ছে, তাঁর কিছু লেখা আর কাজ নিয়ে আসুন আলোচনা করে দেখা যাক। নেতাজি আজকের এই আরএসএস বিজেপি, তাদের মতাদর্শ নিয়ে কী ভাবতেন কী বলতেন।

প্রথমে একটা ঘটনা বলে নিই, সুভাষ বসু বলেছিলেন, সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে দেব না, হিন্দু, মুসলমান বিভাজনকে সামনে নিয়ে যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে আসবেন, তাদের মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেব, মাথা ভেঙে দেব। এবার বলুন কার মাথা ভেঙেছিল? আজকের বিজেপির একমাত্র বাঙালি আইকন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের, তিনি বক্তৃতা দিতে উঠেছিলেন, সুভাষ বসুর সমর্থক যুবকরা ঢিল ছুড়ে শ্যামাপ্রসাদবাবুর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। তাঁকে অবিলম্বে সভামঞ্চ থেকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল, সভা পণ্ড হয়ে গিয়েছিল, তিনি তখনকার হিন্দু মহাসভার হয়ে প্রচার করতে গিয়েছিলেন। কোথা থেকে জানা গেল? শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ডায়রি থেকে, তিনি নিজেই এই ঘটনা তাঁর ডায়রিতে লিখে গেছেন, সে ডায়রি ছাপা হয়েছে, লিভস ফ্রম এ ডায়রি। তার ৩২ পাতায় শ্যামাপ্রসাদ বাবুর লেখা থেকে জানা যাচ্ছে, “সুভাষ আমাকে একবার সতর্ক করেছিলেন… যে, আমরা যদি বাংলায় একটা প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক গোষ্ঠী বানাই, তাহলে সেটা জন্মাবার আগেই কী করে ভেঙে দিতে হয় (দরকার হলে গায়ের জোরে), সেটা আমি দেখব।”

৩৪-৩৫ পাতায় লেখা আছে, “টাউন হলে একটা সভা ডাকা হয়েছিল। সুভাষ সেটা ভেঙে দেন, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শ্রীমতি হেমপ্রভা মজুমদার, লীলা রায়, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীরা।” কেমন লাগছে শুনতে? বিজেপি নেতা আর সমর্থকরা বরঞ্চ গান্ধীর লেখা খুঁজলে, কোথাও কোথাও কাজে লাগানোর মতো কিছু কথা পেলেও পাওয়া যেতে পারে। একজন বৈষ্ণব, খাঁটি, গোঁড়া হিন্দুর লেখা থেকে যেরকমটা পাওয়া সম্ভব, কিন্তু নেতাজির লেখায় ছত্রে ছত্রে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির কথা লেখা আছে। কোনও একটা জায়গাতেও কোনও কনট্রাডিকশন নেই, তিনি তাঁর আইএনএ-তে সৈন্যদের একসঙ্গে খাবার নিয়ম চালু করেছিলেন, শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর সঙ্গের মানুষটার নাম হাবিবুর রহমান। যখন বলা হয় কেবল একজনই যেতে পারবে, একজনেরই জায়গা আছে ওই প্লেনে, তখন তিনি হাবিবুরকেই বেছে নেন। ৩০৩ জন লোকসভা সদস্যের মধ্যে, একজনও মুসলমান না থাকা সংসদীয় দল বিজেপির পক্ষে এটা বোঝা সম্ভব নয়, সম্ভব নয় বোঝা যে কেন নেতাজির সাধের আইএনএ-র উল্লেখযোগ্য কমান্ডাররা ছিলেন মহম্মদ জামান কিয়ানি, শাহনওয়াজ খান, প্রেম সাইগল, গুরবক্স সিং ধিলোঁ, কারণ বিজেপির রাজত্বে উল্লেখযোগ্য কোনও পদেই মুসলমানদের, সংখ্যালঘুদের রাখা হয়নি। এটা তাদের দর্শন, যা ছিল নেতাজির ঠিক উল্টোপথের চিন্তাভাবনা, সাম্প্রদায়িক মতবাদ। আরএসএস–বিজেপির মতাদর্শগত গুরু, সাভারকর ইংরেজদের কী ভাবে সাহায্য করেছিলেন? তিনি হিন্দুদের ব্রিটিশ সেনাতে ভর্তি হতে বলেন, উদ্বুদ্ধ করেন, তাঁর কথা শুনে হিন্দুরা ইংরেজ ফৌজে যোগদান করেছিল। সাভারকর ১৮ জুলাই, ১৯৪১-এ লর্ড ওয়াভেলকে টেলিগ্রাম পাঠান, “YOUR EXCELLENCY’S ANNOUNCEMENT DEFENCE COMMITTEE WITH ITS PERSONNEL IS WELCOME. HINDU MAHASABHA VIEWS, WITH SPECIAL SATISFACTION APPOINTMENT OF MESSERS KALIKAR AND JAMNADAS MEHTA.”, এই হচ্ছে বিজেপি আরএসএস-এর আইকনদের চরিত্র।

১৯৪০ এ নেতাজি এই হিন্দু মহাসভা, যার নেতা আজকের বিজেপির বাংলার আইকন, তাদের আদর্শ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে বা মুসলিম লিগ সম্পর্কে কী বলছেন? “That was a long time ago when prominent leaders of the congress could be members of the communal organisations like Hindu Mahasabha and Muslim League. But in recent times, the circumstances have changed. These communal organisations have become more communal than before. As a reaction to this, the Indian National Congress has put into its constitution a clause to the effect that no member of a communal organisation like Hindu Mahasabha and Muslim League can be a member of an elective committee of Congress.” – Netaji Subhas Chandra Bose Forward Block Weekly, 4th May 1940.

তিনি পরিষ্কার জানাচ্ছেন, হিন্দু মহাসভা বা মুসলিম লিগের কোনও নেতা কংগ্রেসের সদস্য হতে পারবে না। সেই আরএসএস-বিজেপি আজ সুভাষচন্দ্র বোসের নাম নেয়, তারা নেতাজির রাজনৈতিক পরিচিতির ফায়দা তোলার চেষ্টা করে। এই নিকৃষ্ট দেউলিয়াপনার বিরুদ্ধে আমাদের সরব হতেই হবে। ১৯৯৭-এ নেতাজির জন্ম শতবার্ষিকী বছরে কেন্দ্র সরকার নেতাজির জন্মদিনকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন, তারপর কয়েকটা বছরের মধ্যেই সব ধামাচাপা পড়ে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল সেই দেশপ্রেম দিবসকে ফেরাতে চেয়েছিলেন, অমনি নতুন কিছু একটা করার তাগিদে মোদিজি পরাক্রম দিবস ঘোষণা করেছিলেন, আজ সেই পরাক্রম দিবস কোথায়? রামমন্দিরের তলায় চাপা পড়ে গেছে? এভাবেই নেতাজির জন্মদিন নিয়ে একটা প্রহসন শুরু হয়েছে কেন্দ্রে সরকার কাদের? আর এস এস বিজেপির। এই নোংরামোর বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। এক আজন্ম সেকুলার রাজনৈতিক নেতার পরিচিতি নিয়ে খেলা করতে দেব না সাম্প্রদায়িক, বিশ্বাসঘাতক সাভারকর গডসে গোলওয়ালকর, হেডগাওকরের আরএসএস বিজেপিকে। নির্দিষ্ট এক ধর্মের মন্দিরের তলায় রাষ্ট্রনায়কের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকে আটকাবই।

RELATED ARTICLES

Most Popular