কলকাতা: দক্ষিণ দমদম পুরসভার দুই কাউন্সিলরের বিপুল অর্থ কোথা থেকে এল, জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা (PIL) হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের তরফে আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, নিতাই দত্ত এবং দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে যে হলফনামা (Affidavit) দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী দুজনেই বিপুল সম্পত্তির মালিক।
মামলাকারীর দাবি, বাস্তবে ওই দুই কাউন্সিলর আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক। তাঁরা হিসেবে কারচুপি করেছেন। এই আয়ের উৎস কী, তার জন্য তদন্তের প্রয়োজন।
মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামার ভিত্তিতে একজন মামলা করেছেন। দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এমনিতে কোনও অভিযোগ নেই। নিতাই দত্তের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে মামলাকারী কোনও প্রমাণ দেননি। মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে এজি বলেন, এই ধরনের মামলা বাতিল না করলে যে কেউ আদালতে এসে ইডি বা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে।
আরও পড়ুন: Republic Day Parade 2023: প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের চূড়ান্ত মহড়া রেড রোডে
নিতাই দত্তের আইনজীবী জানান, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বলা হয়েছে, তাঁর মক্কেলের বীরভূমে জমি আছে, তিনি দুবাইতে টাকা রাখেন। এসব অভিযোগের প্রমাণ কোথায়। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে মামলা করা যায় না। অন্তত কিছু তথ্য বা প্রমাণ তো থাকতে হয়।
দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর বিরুদ্ধেও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এত সম্পত্তি তিনি কোথা থেকে পেলেন। তারও তদন্ত হওয়া দরকার।
এজি বলেন, এ ধরনের ক্ষেত্রে থানায় অভিযোগ করতে হয়। সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনকে জানাতে হয়। সে সব না করে মামলা করা হল। এই ধরনের মামলার কোনও গুরুত্ব নেই।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি। এদিন মামলার সব পক্ষ আদালতে হাজির ছিল না বলে শুনানি বেশিক্ষণ হয়নি।