হায়দরাবাদ: ভারতকে ম্যাচ জেতাতে ভরসা ছিলেন শচীন তেন্ডুলকর। টানা ২৫ বছর তিনি সেই দায়ভার কাঁধে নিয়েছিলেন। তারপর অবসর নিলেন এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও দলের দায়িত্ব নিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের ইশ্বর ব্যাট হাতে পরিত্রাণের পথে নিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু তাঁর ছেলে বল হাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ঘর ফেরালেন।
অর্জুন তেন্ডুলকর আইপিএলের প্রথম উইকেট পেলেন। ২.৫ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে এক উইকেট নিলেন তিনি। তাঁর মতো ইকোনমি রেট আর কারও নেই। প্রথমে ব্যাট করে ১৯২ করেছিল মুম্বই। হায়দরাবাদ জেতার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২০ রানের। বল তুলে দেওয়া হয় শচীন-পুত্রের হাতে। টি২০ ফর্ম্যাটে ছয় বলে ২০ অসম্ভব তো নয়ই, বরং বোলারদের জন্য চাপ। অর্জুন সেই চাপ রাখলেন, মুম্বইকে ৩ পয়েন্ট দিয়ে ফিরলেন। আইপিএলে ভুবনেশ্বর কুমার তাঁর প্রথম শিকার। ঈশ্বর নিশ্চয়ই আজ গর্বিত।
তবে আজকের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ অবশ্যই ক্যামেরন গ্রিন। ৪০ বলে ৬৪ রানের তাঁর ইনিংস মুম্বইকে বড় রানে নিয়ে গেল। ১৭ বলে ৩৭ করলেন তিলক বর্মা, যাঁর বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছিল গোটা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিম। শচীনও ছিলেন সেই দলে।
আইপিএলে ১৯২ এমন কিছু রান নয়। কিন্তু হায়দরাবাদের হয়ে যাঁরা সেই রান তুলতে পারতেন তাঁদের মধ্যে হেনরিখ ক্লাসেন ছাড়া কেউই সাহস দেখাননি। মায়াঙ্ক আগরওয়াল আর কত সুযোগ পাবেন সেটাই প্রশ্ন। ৪৮ রান করেছেন তিনি, কিন্তু খরচ করেছেন ৪১ বল যা দিয়ে ৮০ রান হয়ে যায়। ক্লাসেন ১৬ বলে ৩৬ করে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু সাহায্য পাননি। রাহুল ত্রিপাঠী আবার ব্যর্থ।