এই গরমে মাঝে মধ্যেই পেট ব্যাথ্যায় কষ্ট পান অনেকে। ওষুধ খেলে সাময়িক আরাম হয় ঠিকই কিন্তু আবার পেট ব্যাথ্যা ও পেটের একাধিক সমস্যা কাবু করে ফেলে। আসলে প্রচণ্ড গরমে হজম প্রক্রিয়ার গতি স্লথ হয়ে যায় ফলে খিদে পায় কম। অন্যদিকে আবার ডিহাইড্রেশনের কারণে শরীরে জলের মাত্রা কমে যায়। এই জল ও পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যায় আর এর ফলে পেটের একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। বড়দের পাশপাশি বাচ্চাদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যায়। তার ওপর লু কিংবা তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বাচ্চাদের পেট খুব বেশি গরম হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে আবার পেটে সংক্রমণও হয়। পেটের এই সব সমস্যা বাড়াবাড়ি হলে অবিলম্বে চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলুন। এর পাশাপাশি গরমে পেটের সমস্য এড়িয়ে পেট নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়়িতে এই কাজগুলো করতে পারেন।
তরল খাবারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে
বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থাকে কয়েকগুণ বেশি। তাই গরমকালে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় বড়দের পাশাপাশি ছোটরা তরল খাবার খাচ্ছে কিনা সেদিকে নজর দিতে হবে। ঘণ ঘণ পেটের সমস্যা হলে এই তরল খাবার মাত্রা বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি লেবু জল, ডাবের জল কিংবা নারকেলের জল, জলে ছাতু গুলে, বাটারমিল্ক বা ঘোলের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। এই সব হেলদি ড্রিঙ্ক পেটও ঠাণ্ডা রাখবে। এতে পেট গরম হবে না পেট ভাল থাকবে।
আরও পড়ুন: এই গরমে শরীর ঠান্ডা ও চনমনে রাখতে খেয়ে দেখুন এই সব ডিটক্স ড্রিঙ্ক
নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় বেশি হার্বস রাখতে পারেন
হার্বস যেমন মৌরি, পুদিনা, ধনেপাতা, আদা অবশ্যই রাখুন। এগুলি পাচন তন্ত্রের কাজে সাহায্য করে এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় না। শরীরকে ডিস্ট্রেস করে যেমন রক্তচাপ ও রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণে রাখে। দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে পুদিনা পাতার চাটনি কিংবা দইয়ে পুদিনা পাতা দিয়ে খেতে পারেন। আবার দিনের প্রধান আহারগুলির পর মৌরি খেতে পারেন।
গরমে বুঝে শুনে খাবার খেতে হবে
এ ক্ষেত্রে বড়দের তুলনায় বেশি সমস্যা হয় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের পাচনতন্ত্র তুলনামূলক বেশি সংবেদনশীল হয়। এদিকে বাচ্চাদের মধ্যে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা থাকে অনেক বেশি এরা তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। তাই যত সম্ভব গরমকালে এদের মশলাদার খাবার ও জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রাখুন। পাশাপাশি এদের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও শাক-পাতা ও সবজি রাখুন বেশি করে। তবে শুধু বাচ্চারা নয় বড়দের ক্ষেত্রেও এই নিয়মগুলো মেনে চলুন। রান্নায় লাল লঙ্কা ও গরম মশলা যত পারবেন তত কম খান।