শীতের শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যা এক রকম কিন্তু এই প্রচণ্ড গরমে ঘামে ভিজেও দিনের শেষে ত্বক যখন শুষ্ক হয়ে যায় তখন কোন পথে সুরাহা হবে তা বুঝতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। প্রচণ্ড গরমে চাইলেও বাড়তি ময়শ্চারাইজার লাগানোর উপায় নেই যেমন তেমন আবার গরমে বা ঘাম হলেও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও চলবে না। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন আখরোট। শরীর ও মস্তিষ্ক ভাল রাখতে যেমন কার্যকরী এই আখরোট। তেমন ত্বক ভাল রাখতেও ভীষণ উপকারী ওয়ালনাটের তেল। আর ওয়ালনাটের এই গুণের কথা কয়েক বছর নয় বরং কয়েকশো বছর পুরোনো। আখরোট গাছের তেল এমন ভাল কাজ করে যে ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল করে তোলে। তবে যাদের ত্বক ব্রণ প্রবণ তাদের এই তেল বুঝে ব্যবহার করতে হবে।
আখরোটের তেলের উপকারিতা
আখরোটের তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এবং এতে ভিটামিন বি৫ ও লিনোলিক অ্যাসিড রয়েছে। এই তিনটি উপকরণ ত্বকের একেবারে ভেতরের স্তরে গিয়ে ত্বক ময়শ্চারাইজ করে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ত্বকে জলের যে স্তর রয়েছে তা বজায় রাখে এবং ত্বকের নিজস্ব জৌলুস ফুটিয়ে তোলে। এর জন্য নিয়মিত ওয়ালনাট অয়েল ফেস প্যাক লাগাতে পারেন। মধু, টক দই, ওটমিলের গুড়ো ও ওয়ালনাট অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে দিন। এই প্যাক শুকিয়ে গেলে মুখ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একবার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
আখরোটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা চট করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখে ও বলিরেখা কম করে। এখানেই শেষ নয় এই তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে যা পরিবেশ দূষণের প্রভাব কম করে ও সূর্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তোলে।
পাশাপাশি আখরোট ত্বকের নানা রকমের সমস্যা যেমন ফাঙ্গাল ইনফেকশন ও সোরিয়োসিসের মতো সমস্যা নিরাময় করে। সোরিয়োসিসের সমস্যা এই তেল সরাসরি মালিশ করতে পারেন। আবার স্নানের জলে এই তেল মিশিয়ে স্নান করতে পারেন।