Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeBig newsকারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩১)
Karar Oi Lauho Kopat

কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩১)

জাস্টিস ফর কলকাতা টিভি, জাস্টিস ফর কৌস্তুভ রায়

Follow Us :

২৮ জুন ২০২৩ ভোপালে দলীয় কর্মীদের এক বিরাট সভাতে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, দুর্নীতিবাজ বিরোধীরা এক হওয়ার চেষ্টা করছে, উনি পাটনাতে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনের কথা বলছিলেন। ওই বক্তৃতাতেই উনি বললেন এনসিপি হল ন্যাচারালি করাপ্ট পার্টি, ওদের বিরুদ্ধে ৭০ হাজার কোটি টাকার ঘোটালা মামলা চলছে। হ্যাঁ, ঠিকই বলেছিলেন, ইডির নজরে তখন এনসিপি-র পাঁচজন নেতা— অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, ছগন ভুজবল, হাসান মুসরিফ, ধনঞ্জয় মুন্ডের ওপর যে দুর্নীতির মামলা চলছিল তার পরিমাণ ৭০ হাজার কোটির চেয়ে কিছু বেশিই হবে। চারদিন পরে মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ার আর তার অনুগামীরা এনসিপি ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিজেপি শিবসেনা জোটে যোগ দিলেন। চারদিন আগে প্রধানমন্ত্রী আসলে ধমকি দিচ্ছিলেন, প্রকাশ্য ধমকি, আরে ও গাঁওবালো, গব্বর সে তুঝে এক হি আদমি বঁচা সকতা হ্যায়, আউর ও হ্যায় খুদ গব্বর। উনি আসলে গ্যারান্টি দিচ্ছিলেন, আমাদের দিকে এসো, তারপর যত পারো টাকা কামাও, ইডি, সিবিআই তো বিরোধীদের জন্য, আমাদের দিকে চলে এলে ওদের সাহস কি তোমার দিকে চোখ তুলেও তাকাবে।

কী কী মামলা চলছিল অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে? মানি লন্ডারিং, ব্যাঙ্ক ফ্রড, বেআইনি জমির হস্তান্তর এবং এমনকী ড্রাগ স্মাগলার ইকবাল মির্চির সঙ্গে ওনার লেনদেনের কথাও ওই অভিযোগের মধ্যেই আছে। একই অভিযোগ আছে প্রফুল্ল প্যাটেলের ওপরে, উনি নাকি দাউদের কিছু গ্যাংস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। হাসান মুসরিফ, অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল যে কোনওদিন গ্রেফতার হতে পারতেন, কিন্তু ওঁরা সোজা ঢুকে গেলেন বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে। যাঁদের বিরুদ্ধে দেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন, তাঁরা এখন মহারাষ্ট্র সরকারের ক্যাবিনেট মিনিস্টার। অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী, হাসান মুসরিফ শিক্ষামন্ত্রী, ধনঞ্জয় মুন্ডে কৃষিমন্ত্রী, ছগন ভুজবল ফুড অ্যান্ড সিভিল সাপ্লাই আর কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স-এর মন্ত্রী, প্রফুল্ল প্যাটেল রাজ্যসভার সাংসদ। কতটা নির্লজ্জ হলে চারদিনের মধ্যে নিজের থুতু নিজে চেটে নেওয়া যায়? কোন আদর্শ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের সামনে রাখছেন?

আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩০)

দুর্নীতি করো, খুলে আম করো, যত ইচ্ছে তত করো কেবল বিরোধিতা ছেড়ে আমাদের দলে এসে যা করার করো, এই তো? সেই একই ফর্মুলাতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে আমাদের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যাঁদের পিছনে ইডি-সিবিআই ঘুরছিল তারা আজ ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে এবং বের হয়ে মিঃ ক্লিন। হ্যাঁ, একই অফার কলকাতা টিভির কাছেও আছে, একই অফার আছে আমাদের সম্পাদক কৌস্তুভ রায়ের কাছে, যিনি আজ ২৫৬ দিন হয়ে গেল জেলেই আছেন। অফারটা হল, মিঃ ক্লিন হয়ে রমরম করে ব্যবসা করতে চাইলে মাথাটা ঝোঁকাও, বিরোধিতা ছাড়ো, একটা মামলাও থাকবে না। না হলে জীবন অতিষ্ঠ করে দেব, এই মামলায় যদি বা বেল পেয়েও যাও, ক’দিন পরেই আবার নতুন মামলাতে জড়িয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সবাই তো কাঁথির খোকাবাবু নয়, সবাই অজিত পাওয়ারও নয়, আমরা তো সাফ জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের শিরদাঁড়া টিকাউ, কিন্তু বিকাউ নয়। কাজেই আমরা যা করতে পারি তাই করছি। আমরা বিচার চাইছি, জাস্টিস ফর কলকাতা টিভি, জাস্টিস ফর কৌস্তুভ রায়।

দেখুন ভিডিও:

RELATED ARTICLES

Most Popular