কলকাতা: পায়ের চোটের জন্য গৃহবন্দি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বাড়ি থেকেই রাজ্যের বন্যা (Flood Situation) পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। একইসঙ্গে তিনি সিকিমের (Sikkim) মেঘভাঙা বৃষ্টিজনিত পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন। প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমের মুখ্যসচিব বাংলার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মঙ্গলবার রাত তিনটের সময় সিকিমের অবস্থার কথা জানান। মুখ্যসচিব ওই রাতেই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। বুধবার নবান্নে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিব জরুরি বৈঠক করেন। বাড়ি থেকে তাতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি তো রাতে জেগেই থাকি। পায়ের চোট সারতে আরও কিছু সময় লাগবে। বাড়ি থেকেই সব মনিটর করছি।
মুখ্যমন্ত্র্রীর স্পিকার অন রেখে এদিন নবান্নে বৈঠক সারেন মুখ্যসচিব। মমতা বলেন, সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সিকিম আমাদের সাহায্য চেয়েছে। আমি নজর রাখছি। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিও ভালো নয়। আমি নিজে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছি। জরুরি পরিস্থিতিতে ছুটি বাতিল থাকবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের (Sikkim Flood Situation) লোনাক লেক ভেসে গিয়েছে। তার জেরে চুংথাম বাঁধ ভেঙে গিয়ে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফলে তিস্তার জল বেড়ে গিয়েছে। তার উপর উত্তরবঙ্গে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তরবঙ্গে মন্ত্রী এবং অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে আনা হবে। জলের স্রোত একটু কমলে তিস্তার বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: সিকিমের মুখ্য সচিবের ফোন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে
নবান্নের ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমি মুখ্যসচিবকে পূর্বাঞ্চলীয় সেনা প্রধানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখতে বলেছি। ডিভিসিতে এত জল জমে গিয়েছে যে জল না ছাড়লে ওদের জলাধার ফেটে যেতে পারে। তবু আমরা ওদের একটু কম করে জল ছাড়তে বলেছি।
আরও অন্য খবর দেখুন