নয়াদিল্লি: কামদুনি (Kamduni) কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সিআইডি’র আবেদন বাতিল করে সব পক্ষকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার এই মামলার শুনানি হয়। হাইকোর্টের রায় স্থগিত না হলে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে বলে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়। বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিম্ন আদালতে সাজা প্রাপ্ত। হাইকোর্টের রায়ের জেরে তারা মুক্তি পাবার আগেই তা স্থগিত রাখা হোক। কিন্তু, বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবী কপিল সিব্বলের এই যুক্তিতে সাড়া দিলেন না। বেঞ্চ জানায়, অভিযুক্তরাও এদেশের নাগরিক। কোন আইনে তাদের মুক্তি আটকানো যায়? সবার বক্তব্য না শুনে কোনও পদক্ষেপ করা যায় না। সাত দিনের মধ্যে সবাই তাদের বক্তব্য জানাক।
আরও পড়ুন: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা
২০১৩ সালে কামদুনিতে কলেজছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ১০ বছর পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত চার জনকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। যাদের মধ্যে একজনের ফাঁসির নির্দেশ ছিল। আরও দুই ফাঁসির আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। এই রায় কামদুনির সাধারণ মানুষের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। হাইকোর্টের এই রায়ে ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদীরা। হাইকোর্ট চত্বরেই কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালদের হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। জনমানসেও এই রায় নিয়ে নানান কথা শোনা গিয়েছে। বস্তুত, এমন প্রতিক্রিয়ার জের রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে ওই রায় চ্যালেঞ্জ করার ইঙ্গিত সেদিনই দিয়েছিল। প্রথমে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। সেখান থেকে অনুমতি পাওয়ার পর স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু স্থগিতাদেশ না মেলায় পরিস্থিতির বদল হল না।