নয়াদিল্লি : প্যাচপেচে গরমে ঘর্মাক্ত বাঙালি যখন বর্ষা ফিরে আসার অপেক্ষায় দিন গুনছে, তখন ৪৩ ডিগ্রিতে হাঁসফাঁস দিল্লিবাসী। মঙ্গলবার বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ অনুভব করল দিল্লি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ বার তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বর্ষা আসতে দেরি হতে পারে। এ দিন দিল্লির সফদরজং অবজারভেটরিতে দেখা যায় তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪৩ ডিগ্রি, যা এ বছরে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তাপমাত্রার জেরে লোধি রোডে লু অনুভূত হয়। রিজ ও পুসা অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪২.৬ ডিগ্রি ও ৪৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গড় তাপমাত্রার তুলনায় যা ৭ ডিগ্রি বেশি। একইসঙ্গে নজাফগড়, প্রিতমপুরা, মুঙ্গেশপুরের তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪৪.৪ ডিগ্রি, ৪৪.৩ ডিগ্রি ও ৪৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানেও তাপপ্রবাহে দিশেহারা মানুষ।
সমতলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে ও তাপমাত্রা কমপক্ষে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি উপরে থাকলে তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয়। ভারত আবহাওয়া দফতরের মতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে ‘তীব্র’ তাপপ্রবাহ ঘোষণা করা হয়।
সাধারণত, রাজধানী ২০ জুন পর্যন্ত তাপপ্রবাহ প্রত্যক্ষ করে। এখন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বর্ষার আগমনে দেরি হতে পারে বলে জানান আইএমডি-র আঞ্চলিক পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব। তিনি আরও বলেন, গত তিনদিনে কোনও বৃষ্টি হয়নি। উত্তর-পশ্চিম ভারতের একটি বড় অংশ জুড়ে উষ্ণ পশ্চিমা বাতাস বইছে, যেখানে এখনও বর্ষা আসেনি। বুধবারও রাজধানীতে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আইএমডির খবর, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে না পৌঁছলেও স্বাভাবিক সময়ের দু’সপ্তাহ আগেই বর্ষা পৌঁছে গেছে পশ্চিম রাজস্থানের বার্মারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষা উত্তর সীমানা বারমর, ভিলওয়ারা, ঢোলপুর, আলিগড়, মিরাট, আম্বালা এবং অমৃতসর দিয়ে যাচ্ছে।
কেরলে দু’দিন দেরিতে পৌঁছনোর পরে, বর্ষা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে সাত থেকে ১০ দিন আগে পূর্ব, মধ্য অঞ্চল লাগোয়া উত্তর-পশ্চিম ভারতেও পৌঁছে গেছে বর্ষা ।