আসানসোল: গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত সায়গল হোসেনকে ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোল সিবিআই আদালত। শুক্রবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জেল হেফাজতে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয়। আদালত সিবিআইয়ের দাবি মঞ্জুর করে। আদালত জানিয়েছে, জেল হেফাজতে থাকার সময় সিবিআই জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ জুলাই।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৩ সাল থেকেই সায়গল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর দেহরক্ষী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর বাবাও কাজ করতেন রাজ্য পুলিসে। বাবার মৃত্যুর পর তিনি পুলিসের কনস্টেবল হিসেবে চাকরি পান। প্রথমে সাধারণ দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করলেও পরবর্তীকালে তিনিই হয়ে ওঠেন অনুব্রতর প্রধান রক্ষী।
সিবিআই সূত্রের খবর সায়গলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকোলে। মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে তাঁর একাধিক জমি, ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি একাধিক গাড়িরও মালিক। সিবিআইয়ের দাবি পাচারের যাবতীয় কাজকর্ম মূলত সায়গলের মাধ্যমে হত। তাঁর হাত দিয়েই বিপুল আর্থিক লেনদেনও চলত। গরুপাচারের তদন্তে নেমে সিবিআই বহুবার সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সিবিআই অফিসাররা তাঁর ডোমকলের বাড়িতেও অনেকবার তল্লাশি চালিয়েছেন। পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসবাদ এবং তল্লাশিতেই সিবিআই জেলায় জেলায় সায়গলের বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। সেই সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর আয়ের বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ে। সামান্য কনস্টেবলের পদে চাকরি করে এত সম্পত্তির মালিক কী করে হলেন সায়গল, তাই বুঝে উঠতে বুঝে উঠতে পারছে না সিবিআই। এরপর দীর্ঘ জেরার পর ৯ জুন গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
আরও পড়ুন- Asansol TMC: ২১ জুলাই ভিড় বাড়াতে কাউন্সিলরদের হুমকি তৃণমূল নেতার