কঠোর বিধিনিষেধের গেরোয় প্রথম ধাক্কা সিনেমা হলে। মাত্র ৫০% দর্শক নিয়ে হল চালানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। আর এতেই বেসামাল টলিপাড়া। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মুক্তি পাবার কথা ছিল আবির, রুদ্র, অর্পিতার ছবি ‘আবার বছর কুড়ি পরে’। ঘটা করে তার ট্রেলর এবং মিউজিক লঞ্চও হয়ে গেছে। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে নির্মাতারা কোনোভাবেই ফাঁকা হলে ছবি মুক্তি করতে রাজি নন। তাদের মতে অপেক্ষা করাই বাঞ্ছনীয়। নতুবা এতো টাকার প্রজেক্টের শেষমেশ হাল হবে টনিক এর মতো।বছর শেষে মুক্তি পেয়েছে ‘টনিক’। প্রথম কদিনের ব্যবসাও বেশ ভালো হয়েছিল। দর্শকদের প্রশংসাও পেয়েছিলো। ঠিক যখনই লক্ষীলাভের সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে, তখনই নেমে এলো বিধিনিষেধের কোপ। ফলে এখন ভরসা টেলিভিশন রাইটস এবং OTT তে বিক্রির মাধ্যমে কিছুটা আয় বাড়ানোর চেষ্টা।শুধু ‘আবার বছর কুড়ি পরে’ই নয়. শোনা যাচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় থাকলেও কবে যে তা দিনের আলো দেখবে সেই বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। আগামী ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাবার কথা ছিল কাকাবাবুর। কিন্তু কোরোনার কাছে বুঝি সত্যিই কাকাবাবু হেরে গেলেন। নির্মাতাদের দাবি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এই ধরণের ছবি মুক্তি অর্থহীন। কারণ সপরিবারে দেখার মতো ছবি কাকাবাবু। যদি বাবা মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে হলে আসতেই ভয় পান,তবে ছবি মুক্তির কোনো মানে হয় না।অন্যদিকে এই ছবিগুলোর মুক্তি পিছিয়ে গেলে অন্যান্য ছবিও ঠিক সময়ে ঠিক ভাবে মুক্তি পাবে না। হল পাবে না অথবা হল পেলেও ঠিক সময়ে শো পাবে না। এর পাশাপাশি হিন্দি ছবি মুক্তির ছোবল তো আছেই। ফলে সব মিলিয়ে ছবির মুক্তির ক্যালেন্ডার যে ঘেটে ঘ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।