কলকাতা: সাপুরজির একটি রেস্তরাঁর মালিককে মারধর করার অভিযোগ উঠল অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর (Sohom Chakraborty) বিরুদ্ধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুকথা শুনে মাথা ঠান্ডা রাখতে না পেরে নিউটাউনের একটি রেস্তরাঁয় শুটিংয়ের মাঝেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভিনেতা। রেস্তরাঁয় মালিকের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় তাঁর। বন্ধ হয়ে যায় শুটিং, ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে যান সোহম।
জানা যাচ্ছে, সাপুরজির একটি রেস্তোরাঁয় শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘ফেলু-বক্সী’ (Felu Bakshi)-র দ্বিতীয় শেডিউলের শুটিং করছিলেন অভিনেতা। রেস্তোরাঁর সামনেই রাখা ছিল অভিনেতা-বিধায়কের গাড়ি। রেস্তরাঁর মালিক এসে ওই গাড়ি সরাতে বললে সোহমের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে তাঁর। সোহমকে উদ্দেশ্য করে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন রেস্তোরাঁর মালিক। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে সোহম শুটিং বন্ধ করে বেরিয়ে আসেন। সোহমের অভিযোগ, রেস্তোরাঁর মালিক তাঁকে এবং তাঁর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালিগালাজ করেছে। তাতেই মেজাজ হারান অভিনেতা।
আরও পড়ুন: প্রয়াত রামোজি রাও, শোকের ছায়া সংবাদ জগতে
রেস্তোরাঁর মালিকের সোহমের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’-র অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূল বিধায়ক তাঁকে লাথি পর্যন্ত মেরেছেন বলেও অভিযোগ। মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেননি সোহম। তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ মেরেছি, দু-চারটে চড়। তবে এমন কিছু হয়নি। স্থানীয় থানায় জানিয়েছি’’।
সংবাদমাধ্যমকে সোহম আরও জানিয়েছেন, ‘‘দিনের শেষে আমিও মানুষ। তারই প্রতিফলন হয়েছে। আমি যেটুকু দেখলাম, ওঁরা আমার স্টাফদের সঙ্গে মারামারি করছে, ধাক্কাধাক্কি করছে। অন-ডিউটি পুলিশ অফিসারদের মেরেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি নীচে এসে জিজ্ঞেস করি, কী হয়েছে? মালিককে বললে, তিনি বলেন, কে এমএলএ আমার জানার দরকার নেই, আমাকে গালাগালি করতে শুরু করেন। সর্বোপরি আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করেছে।’’
দেখুন বিস্তারিত