কলকাতা: মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) মানেই অনন্য নস্টালজিয়া। বাঙালিকে প্রেমের রসদ জুগিয়েছেন মানুষটা। তাঁর অনাবিল হাসিতে বারবার মুগ্ধ হতে হয়। আজও যাঁর চাহুনিতে প্রেমে পড়েন আধুনিকা রমণীরা। তিনিই তো বাঙালিকে প্রেমে পড়তে শিখিয়েছেন। জানা যায়, ভীষণ খাদ্যরসিক ছিলেন মানুষটা। আজ সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)। জানেন এইদিনেই মহানায়কের পছন্দ ছিল পুজোর কোন ভোগ?
অভিনেতারা যে দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদ ধন্য, সে কথা বিশ্বাস করতেন উত্তমকুমার। সেই বিশ্বাস থেকেই শুরু করেছিলেন সরস্বতী পুজো। ১৯৬৮ সালে ‘শিল্পী সাংসদ’ তৈরি করেছিলেন তিনি। নিয়ম মেনে প্রতি বছর উত্তম কুমার হাজির থাকতেন সরস্বতী পুজোতে। সাদা ধুতি এবং পাঞ্জাবিতে হাজির হতেন বাঙালির হার্টথ্রব। সকলের সঙ্গে বসে দিতেন অঞ্জলি। চলত জমিয়ে আড্ডা। আর তারপর দুপুরে থাকত মহাভোজ।
আরও পড়ুন: নতুন বাংলা ব্যান্ড উপহার দিচ্ছেন অনির্বাণ
জানা যায়, দুপুরের খাবারের মেনু মহানায়ক নিজেই ঠিক করেছিলেন। দশ রকম সব্জি দিয়ে খিচুড়ি, বেগুনি, ফুল বড়ি ভাজা ইত্যাদি নানান খাবারের আয়োজন থাকত। এরমধ্যে উত্তম কুমারের সবথেকে প্রিয় ছিল শীষপালংয়ের চচ্চড়ি। মধ্যাহ্নভোজনের পরে শিল্পীদের নিয়ে গানবাজনার আসর বসত ৮৬ লেনিন সরণীর ‘শিল্পী সাংসদ’-এর দপ্তরে। সন্ধ্যায় মায়ের আরতির পর রাতের জন্য থাকত আলাদা মেনু। কড়াইশুঁটির কচুরি, আলুর দম, ভেজিটেবল চপ এবং মিষ্টি। সব মিলিয়ে জমজমাট হয়ে উঠতো সরস্বতী পুজোর দিন।
আরও খবর দেখুন