কিভ: আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে কাছে টানার প্রয়াসটা রাষ্ট্রপুঞ্জের সভা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ সুর চড়িয়ে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কটাক্ষ ছিল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দুনিয়া যদি কোনও পদক্ষেপ করতে নাই পারে তাহলে কেন রাষ্ট্রপুঞ্জের অস্তিত্ব৷ আর সেই মন্তব্যের কয়েক দিনের মধ্যে ইউক্রেনে জেলেনস্কির মুখোমুখি হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ যে ব্রিটেন প্রথম থেকেই রুশ হামলা নিয়ে একটা কঠোর অবস্থান নিয়েছে৷
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ৫০ দিন হতে চলেছে৷ প্রথমে ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি ছিল, এই হামলা হবে কেবলই ইউক্রেন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে৷ বাস্তব কিন্তু অন্য কথাই বলেছে৷ ইউক্রেনের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় রুশ রকেট নির্বিচারে আছড়ে পড়েছে৷ মস্কোর এই ‘অবিবেচকের মতো’ মনোভাব আন্তর্জাতিক দুনিয়া সমর্থন করছে না বলেই দাবি করে আসছিল ইউক্রেন৷ পরিস্থিতি যখন টালমাটাল ঠিক তখনই ইউক্রেনে গিয়ে ভলাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে গোপনে বৈঠক সারলেন জনসন৷ আগে থেকে যে বৈঠকের কোনও ঘোষণা ছিল না৷ গোপনীয়তা এতটাই ছিল যে, কোনও সংবাদসংস্থার কাছে এবিষয়ে খবর ছিল না৷
বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মুখোমুখি আলোচনার ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই বিষয়টি সামনে এল৷ শুধু একটিমাত্র শব্দ বৈঠকের বিষয়ে খরচ করেছেন তাঁরা৷ ‘দুর্দান্ত’৷ এই বৈঠকে রাশিয়া নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে বা চলতি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের ভূমিকা কী হবে কোনও কিছুই প্রকাশ্যে আনা হয়নি৷ গোপন বৈঠকের বিষয়ে হোয়াইট হাউস কিছু জানত বলেও স্পষ্ট হয়নি৷ কী কারণে এত গোপনীয়তা এই বৈঠক সম্পর্কে রাখা হল তা নিয়েই এখন হিসেব কষছে আন্তর্জাতিক দুনিয়া৷