টোকিও: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত জাপান (Japan)। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ এবং তা আরও বাড়তে পারে। বছরের প্রথম দিনটাতেই ৭.৫ তীব্রতার ভূমিকম্প হয় সূর্যোদয়ের দেশে। প্রাথমিক কম্পনের পর আফটার শক চলতেই থাকে। কাল থেকে এ পর্যন্ত ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একের পর এক যে কটি ভূমিকম্প হয়েছে, তার মধ্যে সর্বোচ্চ দুটির রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৬ ও ৬। ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষ এখনও আটকে পড়ে আছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। মৃতের সংখ্য়া আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে। গত কাল থেকে বহু বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ-সংযোগ।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ায় ২১ জনের মৃত্যু
মঙ্গলবার সকালেও অন্তত ৬ বার কেঁপে উঠেছে জাপান। উত্তর-মধ্য জাপানের ইশিকাওয়া, নাইগাতা এবং তোয়ামায় সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছে। সমুদ্রে ৫ মিটার অর্থাৎ সাড়ে ১৬ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে টোকিও আবহাওয়া দফতর। গতকালই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida) সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব উঁচু এলাকা বা বাড়িতে আশ্রয় নিতে বলেছেন। প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার কাজ চলছে।
জাপানের পশ্চিম উপকূল লাগোয়া বেশ কিছুটা অংশ ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও জানিয়েছেন, অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছেন। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পের পর এখনও পর্যন্ত জাপানের প্রায় ৩৩ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানো যায়নি। ভাঙা রাস্তা ধরে এগোতে গিয়ে বার বার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারী দল এবং সেনাকেও। জাপানের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, অন্তত এক হাজার মানুষকে সেনা শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।