Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকপরবর্তী অতিমারী আসতে পারে যখন-তখন!
Pandemic

পরবর্তী অতিমারী আসতে পারে যখন-তখন!

আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে

Follow Us :

লন্ডন: ২০২০ সালের ১১ মার্চ কোভিডকে (Covid 19) এক বিশ্বব্যাপী অতিমারী (Pandemic) ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সেই ঘটনার পর চার বছর পেরিয়ে গেছে। এর প্রভাব কমে গেলেও, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, যে কোনও সময় আরও একটি মহামারী দেখা দিতে পারে।

এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিটেনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ভাইরাস স্থানান্তরিত হওয়ার এবং আরেকটি মহামারী সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

লন্ডনের কিংস কলেজের (London Kings College) সংক্রামক রোগের ক্লিনিকাল লেকচারার ডাঃ নাথালি ম্যাকডারমট বলেছেন, “পরবর্তী মহামারী আশেপাশেই আছে, ঘটতে দুই বছর লাগতে পারে, ২০ বছর লাগতে পারে, তারও বেশি সময় হতে পারে। তবে আমরা অসতর্ক হতে পারি না। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে এবং আবারও ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

আরও পড়ুন: সুখী দেশ হিসেবে ভারত কত নম্বরে জানেন? ১ নম্বরে এই দেশ

বিজ্ঞানীরা আরও সতর্ক করেছেন যে বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) এবং বনজঙ্গল কেটে ফেলার ফলে প্রাণী থেকে মানুষে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। ডাঃ ম্যাকডারমট ব্যাখ্যা করেছেন যে অ্যামাজন (Amazon) এবং আফ্রিকার (Africa) কিছু অংশে গাছ কেটে, প্রাণী এবং পোকামাকড় মানুষের আবাসস্থলের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। তাঁর কথায় “আমরা এমন পরিস্থিতি তৈরি করছি যা অতিমারী প্রাদুর্ভাবের জন্য সুবিধা করে দিচ্ছে।”

তার উপর, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সঙ্গে, মশা এবং পতঙ্গবাহিত ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যেমন ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং ক্রিমিয়ান কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার (CCHF) ইউরোপের এমন কিছু অংশে ঘটছে যেখানে আগে এসব হত না।

কোভিড-১৯ জীবনে একবারই ঘটতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৬০ লক্ষেরও বেশি মৃত্যুর সহ অনুরূপ মহামারী চার দশক আগে আবির্ভূত হয়েছিল। ১৯৮১ সালে চিহ্নিত এইচআইভি-এইডস-এ বিশ্বব্যাপী ৩.৬ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে, ১৯৬৮ সালে হংকং ফ্লু মহামারী আনুমানিক ১০ লক্ষের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল এবং ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু পাঁচ কোটি প্রাণ কেড়েছিল।

দেখুন অন্য খবর:

RELATED ARTICLES

Most Popular