কলকাতা: উচ্চশিক্ষা নিয়ে ফের রাজভবন (Raj Bhavan )-নবান্ন (Nabanna) সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হল। রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (University) সিনিয়র অধ্যাপকদের নিয়ে রাজ্যপাল ডেটাব্যাঙ্ক তৈরি করতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচজন করে সিনিয়র অধ্যাপকের নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজপালের তরফে। ই-মেল করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose) ওই নাম চেয়ে পাঠিয়েছেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (State Education Minister Bratya Bose) বলেন, এ ব্যাপারে আমরা আদৌ অবগত নই।
শিক্ষা মহল মনে করছে, রাজ্যপালের এই উদ্যোগকে ঘিরে আবারও রাজভবন-নবান্ন সংঘাত ঘটতে চলেছে। অনেক উপাচার্যই রাজ্যপালের ওই ই-মেলের ব্যাপারে কী করবেন জানতে চেয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন:Aajke | আত্মহত্যা কিশোরীর, গুলিতে মৃত যুবক, এএসআই কোমায়, সিভিক পুলিশ মৃত্যুশয্যায়
এর আগে রাজ্যপাল উপাচার্যদের তাঁদের কাজের সপ্তাহিক রিপোর্ট রাজভবনে দিতে হবে বলে নির্দেশ জারি করেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোনও বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতি নিতেও বলা হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যপাল রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগাম না জানিয়ে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। রাজ্য সরকার রাজ্যপালের এই অতিসক্রিয়তাকে ভালো ভাবে দেখেনি। এ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া ছিল, রাজ্যপাল মত্ত হস্তীর মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তা না করে রাজ্যপাল শিক্ষা সংক্রান্ত বিলগুলি ছেড়ে দিলে ভালো করতেন।
উপাচার্যদের সাপ্তাহিক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য রাজ্যপালের জারি করা নির্দেশিকা আইনগত দিক থেকে কতটা বৈধ্য, তা জানতে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী আগেই বলেছেন, আমরা চাই রাজ্যপাল ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিন। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন উচ্চশিক্ষাকে কেন্দ্র করে মূলত নবান্নের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁর অতি্সক্রিয়তাকেও মেনে নিতে পারেনি নবান্ন। সেই কারণে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর জন্য রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিল আনে। সেই বিল পাশ হওয়ার পর রাজভবনে পড়ে রয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যপাল্র পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করা নিয়ে রাজ্য সরকার অর্ডিন্যান্স আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।