কলকাতা: এবার সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জেলবন্ধী প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আদালত থেকে বেরোনোর সময় পার্থ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রদীপের নীচেই অন্ধকার। আদালতেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মুখে সরকারি পরিষেবার বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর শোনা যায়। এরপর হাতজোড় করে বিচারককে তিনি বলেন, আমার অসুস্থতার কথা জেল সুপার হাসপাতালে লিখে দিচ্ছেন। তার জবাব আসছে ১০ দিন পর। কারও শরীর খারাপ হলে সে কি ১০ দিন পর ডাক্তার দেখাবে?
পার্থ বিচারককে আরও বলেন, আগে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। মরার আগে যেন বিচারটা দেখে যেতে পারি। ৩০০ দিনের উপর জেলে রয়েছি। বিচার কী হচ্ছে আমি বুঝে গিয়েছি।আমি পাঁচ বারের বিধায়ক। এলাকার মানুষ কি আমায় চোর মনে করবে? সুস্থ জীবনই পেলাম না। আমি মরে গেলে কি বিচার করবেন? সব শুনে বিচারক বলেন, আপনি এই প্রথম এসব জানালেন। বিষয়টা জানতাম না। আমি দেখছি।
আরও পড়ুন: Kurmi | TMC | কুড়মি আন্দোলন নিয়ে বৈঠক পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতৃত্বের
এর আগে শুনানির শুরুতে পার্থর আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেলের একাধিক গুরতর উপসর্গ রয়েছে। জেলের বাইরে তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। আইনজীবীর কথা কেড়ে নিয়েই পার্থ বলে ওঠেন, এবার আমার কথা শুনুন। এদিন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত আরও ৬ জনকে আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক সকলকেই ১৩ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বায়রন বিশ্বাসের মতো সবাই তৃণমূলে চলে আসবেন বলে দাবি করলেন জেলবন্দি তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস (Bayron Biswas) সোমবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। উপনির্বাচনে জয়ের তিনমাসের মধ্যেই হাত ছেড়ে জোড়াফুলে যোগ দিলেন তিনি। ঘাটালের এক নবজোয়ার কর্মসূচির মঞ্চেই বায়রনকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় তৃণমূলের পতাকা। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এই নিয়ে মুখ খুললেন জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বললেন সবাই তৃণমূলে চলে আসবে।’ যদিও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে এদিন চুপই ছিলেন পার্থ।