কলকাতা: আলিপুরদুয়ার মহিলা সমবায় দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI) তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট ১৮ অক্টোবরের মধ্যে দিতে হবে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, এই দুর্নীতির তদন্ত দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা গুরুত্ব দিয়ে করবে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করবে, এটাই আদালত আশা করে। আদালত এই মামলায় ভালো ফলের আশা করে তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে। বিচারপতি আরও বলেন, অপরাধীরা যে কাউকে কিনে নিতে পারে। এই তদন্ত সারদার মতো হতে দেওয়া চলবে না।
মহিলা সমবায়ে দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আগে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সিআইডিকে সমস্ত নথি হস্তান্তরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সিআইডি সেই নথি দেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিআইডিকে এর জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বলেন। ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চ জরিমানার নির্দেশ খারিজ করে দেয়। এ ব্যাপারে একক বেঞ্চের যে মন্তব্য নির্দেশনামায় ছিল, তাও বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ইডি এবং সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। তাঁর আগের নির্দেশই বহাল রাখা হয়।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটে পার্থর নামে সিলমোহর রাজভবনের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত তিনদিন ধরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে কড়া ভাষায় তোপ দেগে চলেন। কখনও তাদের নির্লজ্জ, কখনও আবার আদালতের সঙ্গে খেলা করছে সিবিআই, এই ধরনের মন্তব্যও করেন তিনি। সিবিআইয়ের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জেলবন্দি প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের যোগসাজশেরও অভিযোগ তোলেন তিনি। সিবিআইয়ের গাফিলতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি। ৪ অক্টোবর সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন তিনি। প্রায় ৫০ কোটি টাকার সমবায় দুর্নীতি মামলায় তাঁর আশা, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঠিকঠাক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করবে।