কলকাতা: রাজ্য সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ মোট ছয় বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস দিল সরকার পক্ষ। শুভেন্দু ছাড়া বাকি পাঁচ বিধায়ক হলেন প্রবীণ অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল, তাপসী মণ্ডল, মিহির গোস্বামী এবং শিখা চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সরকারের তরফে স্পিকারের কাছে ওই নোটিস জমা দেওয়া হয়। শুভেন্দু বলেন, এর আগেও আমার বিরুদ্ধে ছয়বার স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনা হয়েছিল। এই নোটিস নিয়ে আমি কিছুই ভাবছি না। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভায় বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বাজেট ভাষণ শুরু হওয়ার আগে সরকার পক্ষ রাজ্য সঙ্গীত বাংলার বায়ু, বাংলার জল গাইতে শুরু করে। তখন বিরোধী বিজেপি বিধায়করা প্রথমে হতভম্ব হয়ে পড়েন। তারপরই তাঁরা পাল্টা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে আরম্ভ করে দেন। বিজেপি বিধায়করা রাজ্য সঙ্গীত কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন। বিরোধীদের আচরণে খোদ মুখ্যমন্ত্রী উঠে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: তোলার টাকা না পেয়ে মারধর, দাদাগিরি বিজেপি নেতার
এদিন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্য সরকার অনেক আগেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে, এবার থেকে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন এবং যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া হবে। শেষে গাওয়া হবে জাতীয় সঙ্গীত। তাঁর অভিযোগ, এটা জানা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার যখন বাজেট বক্তৃতার আগে গোটা সরকার পক্ষ রাজ্য সঙ্গীত গাইছে, তখন বিরোধী সদস্যরা জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ওঠেন। এর ফলে রাজ্য এবং জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এই কারণেই আমরা বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস জমা দিয়েছি।
এদিকে এদিনও বিজেপি সদস্যরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিক এবং বাগানের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বেরিয়ে যান। পরে লবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, চা শ্রমিক এবং বাগান নিয়ে আমরা মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলাম, আলোচনার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু স্পিকার আমাদের আবেদন খারিজ করে দেন। তার প্রতিবাদেই আমরা ওয়াকআউট করি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: