মায়ানমার: জঙ্গিদের ডেরা ভেবে এক গ্রামের স্কুলে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালাল মায়ানমারের সেনা। সোমবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দেয়। সেখান থেকেই সূত্রপাত সংঘর্ষের। এরপর থেকে মায়ানমারে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা লেগেই রয়েছে। এই সংঘর্ষেই সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেল নিষ্পাপ কিছু শিশুর।
সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মায়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের লেট ইয়েট গ্রামের একটি বৌদ্ধ মঠের স্কুলে ওই বিদ্রোহীরা আস্তানা করে রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। সেনার উপর আক্রমণ করারই ছক কষেছিল তারা। এদের নিকেশ করতেই সেই স্কুলে হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি চালায় সামরিক বাহিনী। সেই গুলির আঘাতেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাত শিশুর। এলাকাবাসীর মতে, সেনারা ওই মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে প্রায় সাত মাইল দূরে একটি শহরে নিয়ে গিয়ে কবর দেয়।
আরও পড়ুন: Tala Bridge: পুজোর আগেই খুলতে চলেছে টালা ব্রিজ, পুজোতে উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার বেশকিছু ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিতে স্কুলের ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে। দেওয়ালে গুলি এবং রক্তের দাগও দেখা যায়। তবে সেনার তরফে এক বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী জানান, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (Kachin Independence Army) এবং সশস্ত্র গেরিলাদের একটি শাখা সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (PDF) নামের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওই স্কুলে লুকিয়ে ছিল। তারা অস্ত্রপাচারের কাজ করত ওই গ্রামের মাধ্যমে। এই খবর পেতেই ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে নিকেশ করতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। আর তাতেই সেনার গুলিতে নিহত হন ছয় শিশু।