শান্তিনিকেতন: শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) পঞ্চবনে ৬৩ তম বাংলা ভাষা শহীদ দিবস (Bangla Bhasha Shahid Dibos) পালন হল। সেখানে বিশিষ্টরা তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন। বক্তব্য উঠে আসে, বাংলা ভাষার অধিকার ও সম্ভ্রম রক্ষার্থে বাংলায় যত আন্দোলন হয়েছে এবং যত সংখ্যক মানুষের প্রাণের বিনিময়ে এই ভাষার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষিত হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বাংলাদেশে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির কথা সবাই জানেন। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । আমাদের ভারতবর্ষে স্বাধীনতার পরেও বাংলা ভাষার আধিকার রক্ষার্থে সংগঠিত হয়েছে একাধিক আন্দোলন। ১৯৬২ সালের ১৯ মে অসমের বরাক উপত্যকার আন্দোলন সব থেকে উল্লেখযোগ্য। বাংলা ভাষাভাষী বরাক উপতক্যাবাসীর দাবি ছিল, অসমে শুধু অসমিয়া ভাষা নয়, বাংলা ভাষারও অফিশিয়াল স্বীকৃতি থাকতে হবে সরকারি ভাষা হিসেবে। সরকার মানতে না চাওয়ায় আন্দোলন এবং আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের গুলি আর তাতে মৃত্যু ১১ জন বাংলাভাষী মানুষের। আর তারপর সরকারি ভাবে ভাষার স্বীকৃতি প্রদান। এছাড়াও পুরুলিয়া সহ আর অনেক জায়গায় ভাষার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার লড়াই সংগঠিত হয়েছে স্বাধীন ভারতে।
১৯৬২ সালের ১৯ মে বাংলা ভাষার শহীদ দিবস হিসেবে ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালিরা পালন করে থাকেন। এই বছর বাংলা ভাষার শহীদ দিবসের ৬৩ তম দিবস পালন হল পঞ্চবন রিসর্ট শান্তিনিকেতনে। আলোচনাসভা, রবীন্দ্র সঙ্গীত ও কবিতা দিয়ে স্মরণ করা হল শহীদদের। আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব জুলফিকার জিন্না, কবি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সমাজ সেবী আহসান কামাল ও অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন Rinku Singh | KKR | একা রিঙ্কু রক্ষা করে নকল কেকেআর গড়
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা তাপস মল্লিক জানান , বাঙালি জাতি প্রতিবাদী জাতি, সংগ্রামী জাতি। অধিকার তারা লড়াই করে আদায় করে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি জাতির অবদান সব থেকে বেশী। এই জাতির ঐক্যবদ্ধতা ধ্বংস করে জাতিকে দুর্বল করার অপচেষ্টা বহু যুগের। সীমানাগত রাষ্ট্রীয় বাধ্যবাধকতার ভিতরে থেকেও সংস্কৃতিগতভাবে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে জগত সভায় সে আবার শ্রেষ্ঠ আসন পাবে।