নয়াদিল্লি: মেঘালয়ের (Meghalaya) সবকটি অর্থাৎ ৬০টি আসনে এবং নাগাল্যান্ডে (Nagaland) ২০টি আসনে প্রার্থী দেবে বিজেপি (BJP)। নাগাল্যান্ড বিধানসভাতেও আসন সংখ্যা ৬০। সেখানে বিজেপির সঙ্গে শাসকদল ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (NDPP) জোট রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজেপি সম্পাদক এবং উত্তর-পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ঋতুরাজ সিনহা সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, মেঘালয় ভোটে বিজেপি ‘এম-পাওয়ার’ (M-Power) ট্যাগলাইনে প্রচার করবে। বিজেপির নির্বাচনী লড়াইয়ের মূল স্লোগানই হবে মোদি-শক্তি বা এম-পাওয়ার। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষের ভরসা ও আস্থা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর। তাঁরা বিশ্বাস করেন, মোদি হলেন সেই একজন, যিনি পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের নিশ্চয়তা দিতে পারেন। মোদিই রাজ্যের দ্রুত উন্নয়ন ঘটাতে পারেন।
আরও পড়ুন: Tripura Assembly Election 2023; আবার কি মুখ্যমন্ত্রী বদল! বিজেপির নতুন প্রার্থীকে নিয়ে তুমুল জল্পনা
নাগাল্যান্ড ও মেঘালয় বিজেপির প্রধান তেমজেন ইমনা আলং এবং আরনেস্ট মাওরি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির অনুমোদনের পর প্রার্থীদের নাম জানান তাঁরা। ঋতুরাজ সিনহার দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মানুষ দুর্নীতি ও ধীরগতির উন্নয়ন দেখে দেখে হতাশ হয়ে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প তাঁদের কাছে পৌঁছলেও তার সুফল পাচ্ছেন না মেঘালয়ের মানুষ। তাঁরা বিশ্বাস করেন, কেন্দ্রীয় সাহায্য আরও ভালোভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারত।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের বিধানসভা ভোট। তার আগে ভোট হবে ত্রিপুরায়। এর মধ্যে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। নাগাল্যান্ডেও তারা শাসক জোটে রয়েছে। মেঘালয়ে বিজেপি এতদিন শাসকের জোটে থাকলেও এবার একলা চলো নীতিতে ভোটে নামছে। অন্যদিকে, ত্রিপুরা এবং মেঘালয় দুই রাজ্যেই সর্বশক্তি দিয়ে আসরে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
ভোটের মুখে দল ভাঙাভাঙির খেলাও শুরু হয়েছে। মেঘালয় কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি দুদিন আগেই দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দলত্যাগ করে যথারীতি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কংগ্রেস হাইকমান্ডের (Congress High Command) বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিয়ে মেঘালয়ের (Meghalaya) প্রাক্তন কংগ্রেস সহ সভাপতি অগাস্টিন মারাক বলেন, দলটাকে আঁস্তাকুড়ে ফেলে দিয়েছে হাইকমান্ড। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভোটে লড়ার হিম্মতও হারিয়ে ফেলেছে।