বেজিং: পৃথিবী (Earth) কি অসুস্থ? আমাদের সাধের গ্রহ কি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে। এই আশঙ্কার কারণ, পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর (Core) ঘোরা বিন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, যেদিকে ঘোরে, তার বিপরীত দিকে ঘোরা শুরু করেছে। পৃথিবী তার নিজের নিয়মে ঘোরে। যতক্ষণ না ভূমিকম্প (Earthquake), সুনামির (Tsunami) মতো কিছু ঘটছে ততক্ষণ আমরা কিছুই টের পাই না। সব ঠিক আছে বলেই মনে করি আমরা। কিন্তু চীনের (China) গবেষক জিয়াওডং সং এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (Piking University) গবেষক ইয়াং সম্প্রতি পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ অংশের খামখেয়ালিপনার কথা জানিয়েছেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এর ২০০৯ সালে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল প্রায় ঘোরা বন্ধ করে দিয়েছিল এবং বিপরীত দিকে ঘোরা শুরু করে। ১৪ বছর পর আবার সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গত শতাব্দীর সাতের দশকেও এই ঘটনা ঘটেছিল। এরপর আবার ২০৪০-এর পর আবার দিক পরিবর্তন করতে পারে। পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের দিক পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে নেচার জিওসায়েন্সও (Nature Geoscience)।
আরও পড়ুন: Doomsday Clock: ঘনিয়ে আসছে ‘শেষের সেদিন’, জানান দিল ডুমসডে ঘড়ির কাঁটা!
পৃথিবীর সবথেকে উপরের শিলাগঠিত স্তরকে বলা হয় ভূত্বক বা ক্রাস্ট (Crust)। ভূত্বকের নীচে ৩৫ কিমি থেকে ২৯০০ কিমি গভীর পর্যন্ত অংশের নাম গুরুমণ্ডল বা ম্যান্টেল (Mantel)। এই গুরুমণ্ডল এবং কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে রয়েছে গুটেনবার্গ বিযুক্তি। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে গুটেনবার্গ বিযুক্তি পর্যন্ত অংশই হল কেন্দ্রমণ্ডল বা কোর (Core)। এই কোর গলিত লোহা এবং নিকেল দিয়ে গঠিত। এই কেন্দ্রমণ্ডল বা কোরই উল্টো দিকে ঘোরা শুরু করেছে।
দিনের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত পৃথিবীর ঘূর্ণন। তাই এই ঘটনায় প্রভাবিত হতে পারে তা। তবে মানুষ সহ প্রাণিজগতের উপর কতটা প্রভাব পড়বে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তা নিয়েই গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাহলে কি পৃথিবীর আয়ু শেষ?