নয়াদিল্লি: আদানি (Adani) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের (Hindenburg) অভিযোগের তদন্তে সেবিকে ছয়মাস সময় দিতে নারাজ সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানায়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (Securities and Exchange Board of India) বা সেবিকে বড়জোর তিন মাস সময় দেওয়া যেতে পারে তদন্ত শেষ করার জন্য। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud) এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওলার (J B Pardiolar)বেঞ্চ বলেন, সেবিকে (SEBI) ছয়মাস সময় দেওয়া যাবে না। তাদের কাজে গতি আনতে হবে। আমরা অগাস্ট মাসের মাঝেমাঝি সময় এই মামলা শুনতে চাই। তার মধ্যে সেবিকে রিপোর্ট দিতে হবে। তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সময় দেওয়া যাবে না।
সেবিদিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টের কাছে তদন্ত শেষ করার জন্য আরও ছয়মাস সময় চেয়ে আবেদন করে। সেবির বক্তব্য বিষয়টি অনেক জটিল। অনেক কাগজপত্র খতিয়ে দেখার ব্যাপার আছে। তদন্ত শেষ করতে অন্তত ছয়মাস সময় লাগবে। এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আগামী সোমবার সেবির আবেদনের ব্যাপারে আদালত তার বক্তব্য জানাবে। বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এন সাপ্র্রের নেতৃত্বে যে তদন্ত কমিটি করা জোয়েছিল তার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে। সোমবার আদালত সেবির আবেদনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানবে।
আরও পড়ুন: Suvendhu Adhikari | Calcutta Highcourt | সিমলাপালে ১৭ মে শুভেন্দুকে সভা করার অনুমতি আদালতের
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। বলা হয়েছিল, ২ মের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। গত মাসেই সেবি শীর্ষ আদালতকে জানায়, তদন্ত শেষ করতে তারা আরও ছয়মাস সময় চায়। কারণ বিষয়টা এতই জটিল যে সব খতিয়ে দেখতে অন্তত ১৫ মাস সময় লাগা উচিত। মার্কিন শেয়ার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের রিপোর্টে অভিযোগ করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ আদানি ঘোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে বিস্তর কারচুপি করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর দেশ জুড়ে তুমুল আলোড়ন পড়ে। কংগ্রেস তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি তোলে। এই ইস্যুতে সংসদের অধিবেশন প্রায় চলতেই পারেনি।
বিরোধীদের অভিযোগ, আদানিদের বিভিন্ন সংস্থায় এলআইসি এবং স্টেট ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা ঢালা হয়েছে। এক ধাপ এগিয়ে দিল্লি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল দাবি করেন আদানির সংস্থায় মোদির টাকাও রয়েছে। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালত ওই ঘটনার তদন্ত করতে বলে সেবিকে। পাশাপাশি বিচারপতি সাপ্রের নেতৃত্বে পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।