কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ডিজিটাল যুগেও নস্টালজিয়া মহালয়ার সকালে রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ। রেডিও ক্রমশ ফিকে হলেও মহালয়ার দিনে ভোরে তা শোনার অপেক্ষায় থাকে বাঙালী। শুধুমাত্র মহালয়ার কারণে এই ডিজিটাল দুনিয়ার আজও রেডিওর অস্তিত্ব টিকে রয়েছে। বর্তমানে রেডিওর বাজার ফিকে হলেও বহু বাঙালী মহালয়ায় দিন রেডিওতে চণ্ডীপাঠ শুনতে ভোলেন না।
এ যেন প্রাচীন স্মৃতিকে ভালোবেসে ধরে রাখার চেষ্টা। এই চেষ্টায় সফল বাঁকুড়ার লালবাজার ইন্দারাগোড়া এলাকার বাসিন্দা বছর ৮০-এর নবীন গোপাল সেনগুপ্ত। নাম নবীন হলেও ভালোবেসে বাঁচিয়ে রাখা তাঁর সখের জিনিসগুলি বেশ প্রবীণ। নিজের শরীরের থেকেও সখের জিনিসের প্রতি সেবা-শুশ্রষায় ত্রুটি রাখেননি। আজও তাঁর বাড়িতে বেজে ওঠে গ্রামোফোনের গান। আর ভালব সিস্টেমের রেডিওতে শোনা যায় আকাশবানীর বার্তা। ৬০-এর দশকে কেনা ভালব সিস্টেমের বড় রেডিও আজও সমানভাবে বেজে চলে তাঁর বাড়িতে। পেশায় ব্যবসায়ী নবীনের অবসর সময় রেডিওতে খবর ও গান শোনা নিত্যদিনের বিষয়। আর মহালয়ার সকালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ নিজের রেডিওতে শুনতে ভোলেন না তিনি ও তাঁর পরিবার। সেই স্বাদ পেতে তাঁর বন্ধুরাও এসে যোগ দেয় বাড়িতে।
আরও পড়ুন: Howrah Incident: হাওড়ায় ফের ডাকাতি, ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীরা
আধুনিক লাইফস্টাইলের মাঝে ক্রমশ ফিকে হচ্ছে রেডিও। এক সময় মহালয়ার আগে দোকানে নতুন রেডিও কেনার জন্য ভিড় জমে যেত। কিন্তু এখন এই ডিজিটাল যুগে এই সবই যেন অতীত। কমে এসেছে রেডিও মেরামতির কাজ। কমে গিয়েছে রেডিও বিক্রি। তবে এখনও অনেকেই রেডিওকে বাঁচিয়ে রেখেছেন নবীনের মতোই ভালোবেসে। তাঁর মতো মানুষের সংখ্যাও এই ডিজিটাল দুনিয়ায় একদিন কমে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে।