নয়াদিল্লি: ‘কুকুর’ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাজ্যসভা (Rajya Sabha) উত্তাল হলেও রাজনৈতিক বিরোধিতাকে সম্প্রীতির ‘চুলা’য় ভস্ম করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) সঙ্গে হাসিমুখে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সম্পূর্ণ নিরামিষ সেই ভোজের নায়ক ছিল জোয়ার-বাজরা দিয়ে তৈরি খাবারের ডালি। কী ছিল না সেই থালায়! জোয়ারের খিচুড়ি, রাগি ধোসা, রাগির রুটি, জোয়ারের রুটি, হলদি সবজি, বাজরার চুরমা। মিষ্টির মধ্যে ছিল বাজরা ক্ষীর, বাজরার কেক। আর রাঁধুনি! সে তো খোদ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা খাড়্গের দেশওয়ালি ভাই।
আরও পড়ুন: Kolkata TV-ED Raid: কলকাতা টিভির সম্পাদকের বাড়িতে ইডি হানা, নিন্দায় সরব বিশিষ্টজনেরা
কিন্তু কী কারণে এই ভূরিভোজ?
২০২৩ সালকে রাষ্ট্রপুঞ্জ (UNO) আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ (International Millet Year 2023) হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রধানত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উৎসাহেই তা সম্ভব হয়েছে। আগামী শুক্রবারই শেষ হচ্ছে সংসদের শীত অধিবেশন (Winter Session of Parliament)। তাই তার আগেই শীতের রোদ গায়ে মেখে খোলা আকাশের নীচে এই মহা বনভোজন সারলেন দেশের তাবড় নেতা। হানাহানি, দোষাদোষি, কাদা ছোড়াছুড়িকে শত হাত দূরে সরিয়ে পংক্তিভোজে মিলিত হলেন সকলে।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র টোমর (Agriculture Minister Narendra Tomar) এই মধ্যাহ্নভোজের ডাক দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রায় ৪০ মিনিট ধরে খেতে বসে গল্পসল্প করেন বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার সঙ্গে। কৃষি রাষ্ট্রমন্ত্রী শোভা করন্ডালেজে বলেন, আমার জোয়ার, বাজরা ও রাগি দিয়ে খাদ্যতালিকা বানিয়েছিলাম। আর রাঁধুনি নিয়ে আসা হয়েছিল কর্নাটক থেকে। প্রধানমন্ত্রী তো খুব খুশি।