খাদ্য মন্ত্রকের দেওয়া মন্ত্রক তথ্যে জানানো হয়েছে, ভারতের চাল রপ্তানির নিয়মে হওয়া সাম্প্রতিক রদবদল, রপ্তানির সরবরাহ না কমিয়ে অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্যে করছে। বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ চালের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, প্রায় ছয় মিলিয়ন টন ধানের উপাদন কম হয়েছে এবং নন-বাসমতি চালের রপ্তানিতে ১১ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের ফলে চালের দাম বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: School Service Commission: পুজোর আগে চাকরি দিন, বিচারপতির নির্দেশ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে
চলতি মাসের শুরুতেই সরকার ভাঙা চালের রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি নন-বাসমতি চালের উপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে। জানা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালের খূচরা মূল্য সপ্তাহে ০.২৪ শতাংশ, মাসে ২.৪৬ শতাংশ এবং বছরে প্রায় ৮.৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশি ভাঙা চালের দাম খোলা বাজারে ছিল প্রতি কেজি ১৬ টাকা, বিভিন্ন রাজ্যে এই মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ২২ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রকের দাবি, ভারতের নন-বাসমতি চালের দাম আন্তর্জাতিক মূল্য প্রায় কেজিতে ২৮-২৯ টাকা। ভারতে সেই তুলনায় দাম কম। ফলে নন-বাসমতি চালের উপর ২০ শতাংশ রপ্তানি-শুল্ক চালের দাম কমিয়ে দেবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পিছনে মূল বক্তব্য হলো, চিনের পর ধান উৎপাদনে ভারত দ্বিতীয় হলেও এবার দেশে খরিফ মরশুমে ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। তবে দেশীর বাজারে সরবরাহ বাড়াতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলেও রপ্তানিতে ১১ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের ফলে চালের দাম বাড়তে চলেছে, যার জের পোহাতে হবে দেশবাসীকেই।