ওয়াশিংটন: কৃষ্ণসাগরের উপরে আমেরিকার ড্রোন (US Drone), রাশিয়ার বিমানের (Russia) ধাক্কায় গুঁড়িয়ে গেল। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করল আমেরিকা। ইউক্রেনে (Ukraine) যুদ্ধ বিরতির লক্ষ্ণণ নেই। রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকা দখল করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ন্যাটো জোট সাহায্য করছে ইউক্রেনকে। এরকম পরিস্থিতিতে ন্যাটো জোটের যুদ্ধবিমানের (Fighter Jet) মুখোমুখি রাশিয়ার বিমান হবে কি না তার দিকে চোখ ছিল আন্তর্জাতিক মহলের। তারই মধ্যে এই ঘটনা।
মঙ্গলবার একটি রাশিয়ার সুখোই ২৭ (Sukhoi 27) যুদ্ধ বিমান ও আমেরিকার এমকিউ-৯ (MQ-9 aircraft) ড্রোনের ধাক্কা লাগল। ব্ল্যাক সির (Black Sea) উপরে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ড্রোনটি ভেঙে পড়ে। আমেরিকা এটিকে রাশিয়ার অপেশাদার আচরণ বলে বর্ণনা করেছে। রাশিয়া (Russian Su-27 fighter jet) অবশ্য তার দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আমেরিকা বলেছে ড্রোনটি নিয়মিত নজরদারির অংশ হিসেবে নজরদারি চালাচ্ছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলছে ড্রোনটিই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গিয়ে ভেঙে পড়েছে। ঘটনায় আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যানাটলি আন্তোনভকে (Anatoly Antonov) তলব করেছে। আমেরিকার ইউরোপ বিষয়ক সচিব কারেন ডনফ্রিডের সঙ্গে বৈঠকের জন্য তলব করা হয়েছে। আন্তোনভ অবশ্য এই ঘটনায় জানিয়েছে, আমরা আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব আমাদের দিক থেকে চাই না।
এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আমেরিকা ওই ড্রোনটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নিড প্রাইস (Ned Price) বলেন, উচ্চপদস্থ আধিকারিক পর্যায়ে আমাদের কথা চলছে। আমাদের তীব্র আপত্তির কথা্ আমরা জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: Anubrata Dughter Sukanya| দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা
উল্লেখ্য, ওই রিপার ড্রোন ৫০ হাজার ফুট উপরে উঠতে পারে। অভিযোগ, প্রথমে ওই ড্রোনের উপরে জ্বালানি ফেলা হয়েছিল। তারপর সরে যাওয়া হয়। তাতে ড্রোনটি নষ্ট না হওয়ায় এর পরে ধাক্কা মারা হয়। রাশিয়ার কথায় আমেরিকার গোঁসা অবশ্য কমছে না। আমেরিকার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমানায় এমকিউ-৯ (Mq-9) বিমান নজরদারি চালাচ্ছিল। সেসময় রাশিয়ার বিমান এটিকে ধাক্কা মেরেছে। ইউএস এয়ার ফোর্স জেনারেল জেমস হেকারও এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমেরিকার পক্ষ থেকে এমকিউ৯কে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয়। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাতেও এর ব্যবহার করা হয়। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের এধরেনর ড্রোন রয়েছে। রিপারে লেজার চালিত বোমা ব্যবহার করা যায়। মিসাইলও ব্যবাহ করা যেতে পারে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ড্রোনটি রাশিয়ার সীমানার দিকে এগোচ্ছিল।
.