বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সঙ্ঘাত ক্রমেই তীব্র আকার নিচ্ছে। কিরেণ রিজিজুর পর এবার ধনখড়। শুক্রবার দেশের উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) জগদীপ ধনখড় জানিয়েছিলেন, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়ন্টমেন্ট কমিশন অ্যাকট দেশের সুপ্রিম কোর্ট ষখন বাতিল করে তখনই বোঝা যায় পরিস্থিতি কতটা গুরুতর আকার নিচ্ছে। এক সময়ের সুপ্রিম কোর্টির আইনজীবী ধনখড় শুক্রবার দিল্লিতে এক স্মারক বক্তৃতার অনুষ্ঠানে জানিয়ে দেন, দেশের পার্লামেন্ট একটি আইন তৈরি করছে আর সুপ্রিম কোর্ট সেটি বাতিল করে দিচ্ছে এমন নজির গোটা বিশ্বে আর কোথাও নেই।
আর তার ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাল্টা বিদ্রোহের ধ্বজ্জা উড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কলেজিয়ামের ( বৈঠকের তথ্য চেয়ে তথ্যের অধিকার আইনে একটি মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য— বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও অবস্থাতেই কলেজিয়াম ব্যবস্থার (Collegium System) পরিবর্তন হবে না।
কলেজিয়াম সভার তথ্যের দাবিতে ওই আবেদনের রায় শনিবার সংরক্ষিত রেখেছে বিচারপতি এমআর শাহ এবং সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ। ওই মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষে প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ওই কলেজিয়াম সভার কার্যবিবরণীর তথ্য প্রকাশে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Govrnment) আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)) বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। যা নিয়ে এর আগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উচ্চ বিচারবিভাগীয় স্তরে বিচারপতি নিয়োগে গয়ংগচ্ছতার অভিযোগও তুলেছে। গত সোমবার বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউল ও বিচারপতি এএস ওকা-র বেঞ্চ কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে বলেছিল, বিচারপতি পদে নিয়োগের জন্য কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নামে সম্মতি জানাতে সরকারের তরফে অকারণে দেরি করা হচ্ছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিচার ব্যবস্থা।