কলকাতা: মনোনয়ন পর্বে দুর্বৃত্তদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল ভাঙড় এবং ক্যানিং। শুধু ভাঙড়েই রাজনৈতিক সংঘর্ষে মনোনয়ন চলাকালীন তিনজনের মৃত্যু হয়। এবার ভোটে তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) বিশেষ ভাঙড় (Bhangar) ও ক্যানিংয়ের (Canning) উপর। কমিশন সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোটের জন্য ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ কার হয়েছে। তার মধ্যে ১০ কোম্পানি শুধু বারুইপুর পুলিশ জেলার জন্যই মোতায়েন করা হতে পারে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। এই বারুইপুর পুলিশ জেলার মধ্যেই পড়ে ভাঙড়। ভাঙড়ের জন্যই ৭ থেকে ৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হচ্ছে।
ভাঙরের বেশিরভাগ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন বা ফ্লাইং ওয়ার্ডের মাধ্যমেও কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতায়াত করবে। এমনটাই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে এক প্রস্থ বৈঠক হয়েছে বলেও কমিশন সূত্রে খবর। ভোটের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই অশান্তি, বোমাবাজি, গুলিচলার অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের অভিযোগ যেমন উঠে এসেছে, তেমনই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে গাফিলতির বিষয়টিও উঠে আসতে শুরু করেছে। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে রাজ্য প্রশাসনের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে কমিশন। মনোনয়ন পর্ব থেকে শিক্ষা নিয়েই ভাঙড় নিয়ে বাড়তি সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভাঙড়ের প্রত্যেকটি বুথেই নির্বাচন হবে। যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে একটি বা দুটি বুথ থাকবে সেখানে ৪ বা ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে। ভাঙরের বেশিরভাগ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চায় কমিশন বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার গত ভোটের চেয়ে কম, হলফনামা জমা দিল কমিশন
কমিশন সূত্রের খবর, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ। রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ৷ এখানে মোট ২৭ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ হয়েছে৷বাঁকুড়ায় মোতায়েন হয়েছে ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ তারপরে উত্তর ২৪ পরগনা৷ এখানে মোতায়েন ২৩ কোম্পানি বাহিনী৷ এছাড়াও, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদিয়া, পুরুলিয়াতেও নিরাপত্তায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।