Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকSri Lanka Crisis: বৈদেশিক ঋণের জালে কী ভাবে জড়িয়ে গেল শ্রীলঙ্কা? দায়ী...

Sri Lanka Crisis: বৈদেশিক ঋণের জালে কী ভাবে জড়িয়ে গেল শ্রীলঙ্কা? দায়ী কে…

Follow Us :

দেশ জুড়ে হাহাকার শ্রীলঙ্কায়— দিনের অর্ধেক সময় লোডশেডিং, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে৷ পেট্রল পাম্পে তেল নেই, রান্নার গ্যাস নেই। তুমুল মূল্যস্ফীতি। আন্তর্জাতিক বাজারে ঋণের পরিমাণ বিপুল— তা শোধ দেওয়ার সংস্থান নেই। দেশের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে ঠেকেছে।

কয়েক বছর আগেও যে দেশের মানবোন্নয়ন সূচকের উদাহরণ দেওয়া হত, তার এমন অবস্থা কী করে হল? খানিকটা ভাগ্যের মার, অস্বীকার করার উপায় নেই। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির একটা বড় দিক হল পর্যটন শিল্প। কোভিডের ধাক্কায় তার অবস্থা ভয়াবহ। অন্য দিকে রয়েছে নীতিনির্ধারকদের অপরিণামদর্শিতা। ঋণ করে দেশ চালানোর অভ্যাস করে ফেলেছিলেন সে দেশের শাসকরা। তা-ও চড়া সুদে স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক ঋণ। এ দিকে, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে মন দেয়নি সরকার, অর্থব্যবস্থার রাশ ছেড়ে রেখেছিল শাসকদের ঘনিষ্ট কতিপয় সাঙাতের হাতে। ভঙ্গুর অর্থনীতি, বিপুল ধার, তার উপর নিরাপত্তার অভাব— সব মিলিয়ে দেশের ক্রেডিট রেটিং কমেছে। ফলে, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাণিজ্যিক ধার পাওয়ার পথও বন্ধ হয়েছে ক্রমে। এ দিকে, নতুন নোট ছাপিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টায় আরও দ্রুত গতিতে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি।

গত কয়েক বছরে টাকার অভাব সামাল দিতে বিপজ্জনক সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের সরকার। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বিদেশি মুদ্রায় রাসায়নিক সার কিনতে হয়, এবং তার উপর ক্রেতাদের ভর্তুকিও দিতে হয়, তাই সে খরচ বাঁচাতে রাতারাতি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রাসায়নিক সার— গোটা দেশে অর্গানিক চাষ চালু করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে বলেছিলেন— অচ্ছে দিন, থুড়ি, কৃষিতে উচ্চ উৎপাদনশীলতা ও কৃষকের সমৃদ্ধি এল বলে। আসেনি। ধান উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে ২০ শতাংশ, এখন বাংলাদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। অর্থনীতির উন্নতি হবে বলে রাতারাতি করের হার কমিয়ে দিয়েছিল সরকার। শিল্প উৎপাদন বাড়েনি৷ কিন্তু, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে বিপুল পরিমাণে। ফলে, রাজকোষ ঘাটতির হার জিডিপি-র প্রায় ১৫ শতাংশ।

এ শুধু অর্থনৈতিক ব্যর্থতা নয়। শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষে পরিবার— যে পরিবারের এক ভাই দেশের প্রেসিডেন্ট, অন্য ভাই প্রধানমন্ত্রী, আরও দু’ভাই এবং ছেলেমেয়েদের অধীনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব দফতর, সব মিলিয়ে দেশের বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে যে পরিবারটি— যে ভঙ্গিতে দেশ চালিয়েছে, এটা তার প্রতিফলন। অন্য কারও মতের তোয়াক্কা না করে, শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থের কথাটুকু ভেবে। 

রাজাপক্ষে পরিবারের দুর্নীতি, দেশের সব ক্ষমতা দখলের চেষ্টা— সব কিছু নিতান্ত প্রকাশ্যে থাকার পরও পরিবার চার বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পরে ২০১৯ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়েই প্রেসিডেন্ট হন গোতাবায়া রাজাপক্ষে; দু’দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহেকে ছেঁটে সেই পদে বসেন মহিন্দা রাজাপক্ষে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিঃশর্ত সমর্থন ছিল তাঁদের দিকে— কারণ, মহিন্দা রাজাপক্ষে দ্ব্যর্থহীন ভাবে এই সিংহলী সংখ্যাগরিষ্ঠতানির্ভর উগ্র জাতীয়তাবাদের পক্ষে। প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকার সময় এলটিটিই-র কোমর ভেঙেছিলেন মহিন্দা, সঙ্গে মারা পড়েছিলেন অন্তত পঁচাত্তর হাজার তামিল। তিনি জানেন, সিংহলী জাতীয়তাবাদের পালের হাওয়াই তাঁকে টেনে নিয়ে যাবে। উগ্র জাতীয়তাবাদের সব সময়েই কোনও না কোনও শত্রুপক্ষের প্রয়োজন হয়। দুর্বল হয়ে যাওয়া তামিল জনগোষ্ঠীকে দিয়ে সেই কাজ আর চলছে না বলে রাজাপক্ষেরা নতুন শত্রু হিসাবে বেছে নিয়েছেন মুসলমানদের। বড় মাপের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি ঠিকই, কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রের মুসলমানরা ক্রমেই কোণঠাসা হয়েছেন। 

সংখ্যাগরিষ্ঠের আধিপত্যবাদ দিয়ে অর্থব্যবস্থার স্বাস্থ্যের উন্নতি করা কঠিন। দীর্ঘ সিংহলী-তামিল গৃহযুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় ঋণের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছিল। সেই গৃহযুদ্ধ মিটেছে, কিন্তু জাতিগত অবিশ্বাসের আবহে অর্থব্যবস্থা গুটিয়েই থেকেছে— শ্রীলঙ্কায় লগ্নি করতে ভয় পেয়েছেন অনেকেই। পশ্চিমি দুনিয়ার সঙ্গেও ক্রমশ সম্পর্ক ছিন্ন করেছে শ্রীলঙ্কা— দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক চাপকে রাজাপক্ষেরা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি শক্তির অন্যায় হস্তক্ষেপের চেষ্টা বলে দেখিয়েছেন। ফলে, লাভজনক শর্তে বিদেশি বিনিয়োগ বা সহজতর শর্তে ঋণ, কোনওটাই পায়নি শ্রীলঙ্কা। এই ফাঁক পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে চিন। শ্রীলঙ্কা জুড়ে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে লগ্নি করেছে চিন— সে লগ্নি আসলে চড়া সুদে ঋণ। যে দেশ অন্য কোথাও থেকে ঋণ পায় না, তাকে চড়া হারে ঋণ দেওয়া চিনের ইদানীংকার নীতি। আমেরিকা এর নাম দিয়েছে ডেট ট্র্যাপ ডিপ্লোম্যাসি— ঋণের দায়ে জড়িয়ে ফেলার কূটনীতি। 

 ‘আন্তর্জাতিক চাপ’-এর কাছে দেশের প্রেসিডেন্টের মাথা না নোয়ানোর সাহসেও অনেকেই গর্বিত ছিলেন। এপ্রিলের গোড়ায় যে মন্ত্রীরা দল বেঁধে পদত্যাগ করলেন অপশাসনের অভিযোগ তুলে, তাঁরাও দীর্ঘদিন ধরে বিনা প্রশ্নে মেনে নিয়েছেন সব কিছুই। আর আজ এ সব কিছুর ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে৷

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Jyotipriya Mallick | হাড়-মাংস-কিডনি-লিভার, জামিনে বালুর হাতিয়ার
00:00
Video thumbnail
Lok Sabha election 2024 | কলকাতা টিভিতে মুখোমুখি সৌমিত্র খাঁ ও সুজাতা মন্ডল, কী বললেন শুনে নেব
00:00
Video thumbnail
Arjun Singh | বিবাহ তিরে বিদ্ধ অর্জুন সিং, অভিরূপ সিং অর্জুনের পুত্র দাবি সোমনাথ শ্যামের
00:00
Video thumbnail
Suvendu Adhikari | '২৩ তারিখ ঘাটালের হিরোকে জিরো করবে', দেবকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দুর
00:00
Video thumbnail
Adhir Ranjan Chowdhury | 'হঠাৎ করে সমীকরণ বদলে যায় দিদির', কার্তিক মহারাজ ইস্যুতে অধীরের তোপ
02:39
Video thumbnail
Raj Bhavan | রাজভবনের ৩ কর্মীকে ফের তলব, হেয়ার স্ট্রিট থানায় হাজিরার নির্দেশ
02:02
Video thumbnail
Narendra Modi | 'ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশনকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী', পুরুলিয়ায় মমতাকে নিশানা মোদির
11:22
Video thumbnail
Ghatal | ঘাটালে বিজেপির প্রচারে বাধার অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের
00:43
Video thumbnail
Curd | দইয়ের সঙ্গে খাবেন না এই ৫ খাবার!
01:21
Video thumbnail
Ghatal | ঘাটালে বিজেপির প্রচারে বাধার অভিযোগ তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে
00:53