কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি ২৩ গোষ্ঠীর নেতাদের প্রধান দাবি ছিল, স্বচ্ছতার সঙ্গে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি করতে হবে। এছাড়াও তাঁদের দাবি ছিল, গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি পদে বসাতে হবে। রাহুল গান্ধী সেই যে গোঁ ধরে বসেছিলেন যে, তিনি তো নয়ই, এমনকী গান্ধী পরিবারের কেউই কংগ্রেস সভাপতি হবেন না।
শেষ পর্যন্ত রাহুলেই ইচ্ছেই দলে মর্যাদা পেল। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কর্নাটকের প্রবীণ দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তিনি আবার রাজ্যসভার বিরোধী নেতাও বটে। লড়াইয়ে রয়েছেন দক্ষিণের আর এক সাংসদ শশী থারুরও। তিনি এবং মল্লিকার্জুন গতকাল শেষ দিনে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন এক মন্ত্রী কে এন ত্রিপাঠীও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি সম্ভবত মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন। শেষ পর্যন্ত লড়াই হবে প্রবীণ দুই সাংসদের মধ্যে। তবে পাল্লা ভারী মল্লিকার্জুনেরই। শশী থারুর নিজেও সেটা জানেন।
আরও পড়ুন: CBDT: কর অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিন বাড়িয়ে ৭ অক্টোবর
বিক্ষুব্ধদের আরও একটা দাবি ছিল, কংগ্রেস সভাপতি যেন গান্ধী পরিবারের হাতের পুতুল না হন। মল্লিকার্জুনের মনোনয়নপত্রে জি ২৩ গোষ্ঠীর একাধিক নেতা প্রস্তাবক হিসেবে সই করেছেন। তাঁদের মধ্যে আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারি, পৃথ্বীরাজ চৌহান প্রমুখ রয়েছেন। মল্লিকার্জুন প্রার্থী হওয়ার পর বিক্ষুব্ধরাও পিছিয়ে এসেছেন। আর মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বিক্ষুব্ধ নেতাদের দিয়ে মল্লিকার্জুনের মনোনয়নপত্রে সই করিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরাও তাঁর পিছনে রয়েছেন। শশী থারুর প্রার্থী হলেও তিনি তেমন ভারী কিছু নন। তুলনায় মল্লিকার্জুনের অভিজ্ঞতা এবং গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, এরপর জি ২৩ গোষ্ঠীর ভবিষ্যত কী? বিক্ষুব্ধরা গতকাল থেকেই বলতে শুরু করেছেন, আমাদের সব দাবিই তো মেনে নেওয়া হয়েছে। এখন আর বিক্ষুব্ধ শিবিরে থেকে লাভ কী। বিক্ষুব্ধ নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা বলেন, মল্লিকার্জুনের মতো পোড় খাওয়া নেতা প্রার্থী হয়েছেন। আমাদের সব দাবিও পূরণ হয়ে গিয়েছে। শশী থারুরও বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা হলেও গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই গভীর। বস্তুত, সোনিয়ার সঙ্গে কথা বলেই তিনি দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Madhya Pradesh Highcourt: সহকর্মীর আত্মহত্যার প্রতিবাদে আজ মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে আইনজীবীদের কর্মবিরতি
কংগ্রেসের অন্দরের খবর, সাংগঠনিক নির্বাচন যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই হচ্ছে, তা প্রমাণ করার জন্যই শশীকে দাঁড় করানো হয়েছে, যাতে কেউ আর প্রশ্ন তুলতে না পারে। এখন বিক্ষুব্ধরাই চাইছেন মুল স্রোতে থাকতে। এবার জি ২৩ গোষ্ঠীর প্রাসঙ্গিকতা আর কতটা থাকবে, তা নিয়েই সকলের কৌতূহল।