কলকাতা: তেঁতুলের (Tamarind) আচার কিংবা তেঁতুল অনেকেরই পছন্দের। তেঁতুলের নাম শুনলেই ছোট থেকে বড় সকলেরই জিভে জল আসতে বাধ্য। এমনকি রান্নাতেও তেঁতুলের ব্যবহার দারুণ স্বাদ প্রদান করে। তবে, প্রাচীনকালেও ঔষধির উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হত তেঁতুল। কারণ, তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং ফাইবার জাতীয় অনেক উপকারী উপাদান। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। জেনে নিন-
ওজন হ্রাস: তেঁতুলে রয়েছে হাইড্রক্সি সাইট্রিক অ্যাসিড। যা টারটারিক অ্যাসিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। প্রকৃতপক্ষে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দিতে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। পর্যায়ক্রমে ওজনও হ্রাস করে।
আরও পড়ুন: থোড়, চাল কুমড়োর তরকারি, চালতার টক তরফদার বাড়ির পুজোয়
হজমে সাহায্য- তেঁতুলে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার। যা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।
হাইড্রেশনের জন্য: তেঁতুলে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ। এগুলি সবই একত্রিত হয়ে শরীরে জলের স্তর বজায় রাখতে ইলেক্ট্রোলাইট হিসাবে কাজ করে। পরিমিতভাবে তেঁতুল খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: তেঁতুলে রয়েছে টারটারিক অ্যাসিড। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শারীরিক নানা অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ মসৃণভাবে করতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ত্বকের ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। পাশাপাশি, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়াতে: তেঁতুল ভিটামিন সি-এর একটি দুর্দান্ত উৎস। এতে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী।
 আচার কিংবা তেঁতুল অনেকেরই পছন্দের। তেঁতুলের নাম শুনলেই ছোট থেকে বড় সকলেরই জিভে জল আসতে বাধ্য। এমনকি রান্নাতেও){kind=link}