হাড় থেকে যখন ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য খনিজ উপাদানের ক্ষয় হয় তখন অস্টিওপোরোসিসের সমস্যার সৃষ্টি হয়।অস্টিওপোরোসিস প্রধানত মহিলাদের প্রভাবিত করে সেই তুলনায় এই রোগে আক্রান্ত পুরুষদের সংখ্যা অনেক কম।
অস্টিওপোরোসিস কোন উপসর্গ দেখায় না এবং সাধারণত এটি স্বাভাবিক বার্ধক্য প্রক্রিয়ার অংশ হয়। তবে কিছু সংখ্যক মহিলাদের ক্ষেত্রে অন্যান্য রোগের কারণে অল্প বয়সেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। মহিলাদের মেনোপজের পরেও এর সম্ভাবনা বেড়ে যায় আরও বেশি। প্রথম দিকে এই রোগের কোনও উপসর্গ দেখা যায় না তবে একাধিক বার ফ্র্যাকচারের সমস্যা দেখা দিলে তা অস্টিওপরোসিস কারণে হতে পারে।
পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার হাড় থেকে খনিজ ক্ষয়ের মূল্যায়ন করে যা আপনার হাড়ের খনিজ ঘনত্ব (BMD) নির্ধারণ করে। এই মূল্যায়ন থেকে অস্টিওপোরোসিস সমস্যা নিশ্চিত করেন বিশেষজ্ঞরা।
কীভাবে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করবেন
শক্তিশালী হাড়ের বিকাশ জীবনের প্রথম দিকে শুরু হয়। সারা জীবন সুস্থ থাকা আপনার হাড়কে সুস্থ রাখার একটি চমৎকার উপায়।
হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে এই সমস্যা দেখা যাবে
হাড়ের শক্তি বজায় রাখার জন্য কিশোরী এবং যুবতী মহিলাদের মধ্যে হরমোন ইস্ট্রোজেন তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। ইস্ট্রোজেনের ঘাটতি হাড়ের ভরকে প্রভাবিত করে এবং অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। ইস্টোজেনেনর ঘাটতি হয় এই ভাবে-
পিরিয়ডের অনুপস্থিতি
বিরল মাসিক চক্র
প্রথম পিরিয়ড শুরু হতে বিলম্ব
প্রারম্ভিক মেনোপজ
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য এই সমস্যা দেখা দিতে পারে
ধূমপান হাড়ের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে মহিলাদের হাড়ের ভর (হাড়ের খনিজ ঘনত্ব) উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়। অস্টিওপরোটিক মহিলারা ছাড়াও যারা অস্টিওপোরোসিসের জন্য ওষুধ খাওয়ার সময় ধূমপান চালিয়ে যান, তারা চিকিত্সার সম্পূর্ণ সুবিধা অর্জন করতে ব্যর্থ হন। যে মহিলারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করে তাদেরও অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি রয়েছে।
এই সব কারনে অস্টিওপরোসিসের সমস্যা হতে পারে:
নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালসিয়ামের অভাব
শরীরচর্চা ও নিয়মিত দৈহিক পরিশ্রমের অভাব
বেশি মাত্রায় ক্যাফেন যুক্ত পানীয় ও খাবার খাওয়া
অত্যধিক অ্যালকোহল গ্রহণ করা এবং পুষ্টির অভাব
ক্যালসিয়ামের অভাব
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অন্যান্য পুষ্টির অন্যতম ক্যালসিয়াম। অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করার জন্য তাই ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার যেমন দুগ্ধজাত ও সুষম খাবার খেতে হবে।
ভিটামিন ডি-র অভাব
আমাদের শরীর সরাসরি খাবার থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নিতে পারে না এর জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ডি। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব হলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় শরীরে। অন্যদিকে শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন ডি থাকলে এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেম এবং কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নিতে সাহায্য করে এর ফলে শরীরের টিস্যু এবং রক্তে ক্যালসিয়াম উপলব্ধ হয়।