কলকাতা: পার্কিনসনস রোগটি (Parkinsons Disease) বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কম্পন, দৃঢ়তা ও সমন্বয়ে অসুবিধার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যা বার্ধক্যজনিত মস্তিষ্কের ব্যাধির লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে কমবয়সীদের মধ্যেও। এই রোগটি একবার হলে সারাজীবন ধরে এর জের চলতে থাকে। কিন্তু, রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করাও বেশ কঠিন। রোগটি যতদিনে ধরা পড়ে, ততদিনে ৮৫ শতাংশ স্নায়ু নষ্ট খারাপ হয়ে যায়। এর ফলে রোগটি সারানো চিকিৎসকদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি ফ্লোরে ইন্সস্টিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড মেন্টাল হেলথের গবেষকরা একটি বিশেষ পদ্ধতির খোঁজ পেয়েছেন। এই পদ্ধতিতে রোগটিকে ২০-৩০ বছর আগেই শনাক্ত করা সম্ভব। এর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের ইমেজিং প্রসেস। এফ-এভি-১৩৩ নামের একটি বায়োমার্কার ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সঙ্গে থাকছে ‘পজিট্রন এমিশন টোমোগ্রাফি’ বা ‘পেট প্রযুক্তি’। এই প্রযুক্তির সাহায্যে পার্কিনসনস রোগের জন্য দায়ী নিউরোনগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কি না তা আগে থেকেই বোঝা যায়। আর নষ্ট হতে শুরু করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ক্যাভিটির সমস্যা? দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে কী কী করবেন জেনে নিন
পার্কিনসনস রোগের লক্ষণ-
১) হাত ও পায়ে কাঁপুনি হয়। হাত ও পা স্বাভাবিকের তুলনায় শক্ত হয়ে যায়। এমনকি, চলাফেরার গতি ধীর হয়ে যায়।
২) আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারায় সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটতে দেখা যায়।
৩) কণ্ঠস্বর নিচু হতে পারে বা কমে যেতে পারে। এমনকি চোখের পাতার নড়াচড়াও কমতে পারে।
৪) শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে সমস্যা হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি বারবার পড়ে যেতে পারেন। বিশেষ করে হঠাৎ পেছনে ফিরতে সমস্যা হয়। ছোট ছোট পদক্ষেপে সামনে একটু ঝুঁকে হাঁটেন।
৫) হতাশা, উদ্বেগ, উদাসীনতা, মনোযোগহীনতা, ঘুম কমে যাওয়া—এ ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়।
দেখুন আরও অন্য খবর: