অনেকেই বিশ্বাস করেন, রামনবমীর (Ram Navami) দিন নিষ্ঠা নিয়ে পুজো করলে মনের অনেক আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়। রামচন্দ্রের কৃপায় সব ধরনের সংকট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অনেকে রামনবমীর দিন রামের সঙ্গেই দেবী দুর্গার (Maa Durga) ও পুজো করেন। সেক্ষেত্রে সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলেও বিশ্বাস করেন অনেকে। শাস্ত্র মতে, নবরাত্রির সময় মানুষ নয় দিন ধরে দুর্গা সপ্তসতীর (Durga Saptashati) আচার পালন করে। জীবনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় দুর্গা সপ্তসতী পাঠ করা হয়।
শাস্ত্রে দুর্গা সপ্তসতী (Durga Saptashati) পাঠের উপকারিতা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলা হয়, শুধু এই পাঠ করলেই মানুষের সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়। তবে, দুর্গা সপ্তসতী পাঠ করার নিয়ম রয়েছে। যদি সম্পূর্ণ পদ্ধতিতে দুর্গা সপ্তসতী পাঠ করা হয়, তাহলে অবশ্যই সমস্ত সমস্যা দূর হবে। পবিত্রতার সঙ্গে দুর্গা সপ্তসতী পাঠ করতে হবে। স্নানের পর শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে পশমের আসনে বসে এই পাঠ করতে হবে। পাঠ শুরুর আগে একটি লাল রংয়ের কাপড়ে বইটি রেখে তার উপর ফুল অর্পণ করুন। পুজোর পর পাঠ শুরু করুন। করুন। নবরাত্রিতে দুর্গা সপ্তসতী (Durga Saptashati) পাঠের আগে ও পরে মন্ত্র জপ করা উপকারী। দুর্গা সপ্তসতী পাঠে প্রতিটি শব্দের উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া উচিত।
শাস্ত্রে এও বলা আছে, যে পাঠের সময় হাই তোলা উচিত নয়। এতে আলস্য প্রকাশ পায়। তাই মনকে শান্ত ও স্থির রাখতে হবে। সময়ের অভাবে যদি কোনও দিন দুর্গা সপ্তসতী সম্পূর্ণরূপে পাঠ করা না যায়, তবে সপ্তসতীর শেষে দেওয়া কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ করে দেবীর কাছে প্রার্থনা গ্রহণ করুন। পাঠ শেষে মা দুর্গার কাছে কোনও ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
দেবী দুর্গার নানা রূপ। প্রাচীনকাল থেকে অশুভ শক্তি নাশের উদ্দেশে বিভিন্ন সময়ে মহাপুরুষরা শক্তির আরাধনা করেছেন। শ্রীরামচন্দ্রও অশুভ শক্তির বিনাশ করতে দেবী দুর্গার আরাধনার সূচনা করেন শরৎকালে। চন্দ্রবংশীয় রাজা সুরথ দেবী দুর্গার আরাধনা করেন বসন্তকালে। কালের ভেদে বিভিন্ন পুজোর রীতি-নীতির সামান্য পার্থক্য হলেও, দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে উভয় পুজোর রীতি একই রয়েছে। শরৎকালে হয় শারদীয়া দুর্গাপুজো, বসন্তকালে দেবী দুর্গার পুজো বাসন্তীপুজো নামে পরিচিত।