অফিসের কাজে নাজেহাল অবস্থা। এর জন্য খাওয়াদাওয়া ঠিক সময়ে হয়ে ওঠে না। কোনওদিন দুপুর দুটো আবার কোনওদিন বিকেল চারটে বেজে যায় খেতে। এই খাওয়ায় অনিয়মে ডেকে আনছেন বিপদ। আপনার অজান্তেই আপনার পিত্তাশয়ে পাথর হবে, আপনি বুঝতেও পারবেন না। বিশেষ করে কম বয়সীদের মধ্যে এই রোগ বেশি পরিমানে হচ্ছে। পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করার চেষ্টা করুন। অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। এছাড়াও শরীরে জলের ঘাটতি হলে এই রোগ হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কী ভাবে বুঝবেন আপনার পিত্তাশয়ে পাথর হয়েছে?
১) গাঢ় খয়েরী রঙের প্রস্রাব হলে বুঝবেন আপনার পিত্তাশয়ে পাথর হয়েছে।
২) পিত্তাশয়ে পাথর হলে চোখ হলুদ ও বমি বমি ভাব, খিদে না পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান।
আরও পড়ুন: আপনার পোষ্যকে এই খাবার ভুলেও দেবেন না!
৩) মশলাদার খাবার যেমন, মাছ মাংস, ভারী কোন খাবর খেলে অনেকের পেটে যন্ত্রণা করে। পেটের ডান দিকে, বুকের ঠিক নিচে, পেটের মাঝে, কাঁধে, পিঠে তীব্র যন্ত্রণা করা একদমই ভাল নয়।
৪) পেটে ব্যথার সঙ্গে বমি খুব খারাপ লক্ষণ। এমনকি কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসে। এগুলি খুব খারাপ লক্ষণ।
এই রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই দিনে দুই লিটার জল পান করুন। খাওয়াদাওয়া নিয়মিত করুন। দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর অল্প অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে এই উপসর্গগুলো অনুভব করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আরও অন্য খবর দেখুন